ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

ঘর পাচ্ছেন ২৬ বছর সাজাভোগী পিয়ারা, মা পাবেন বয়স্কভাতা

পিরোজপুর:: মঠবাড়িয়ায় চাচাতো বোনকে হত্যার দায়ে ২৬ বছর যাবজ্জীবন সাজা ভোগকারী পিয়ারা আক্তার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী উপহার ঘর ও তার বৃদ্ধ মা পাবেন বয়স্কভাতা। এ উদ্যোগ নিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসন। বরিশাল জেলা প্রশাসনের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিয়ারা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট হারজি গ্রামের মৃত আনিস মৃধার মেয়ে।

জানা গেছে, চাচাতো বোন শিশু মেহজাবীনকে হত্যার অভিযোগে ১৯৯৫ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১২ বছরের পিয়ারা আক্তারকে। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ এপ্রিল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেন আদালত।

এরপর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পিয়ারা দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ১০ জুন বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দিন হায়দারের বিশেষ বিবেচনায় চার বছর আগে মুক্তি পান। এরপরই পিয়ারা আক্তার মঠবাড়িয়ার ছোট হারজি গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা ছফুরা বেগমের সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে আসেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হলে ঘর ও বয়স্ক ভাতার কার্ড পিয়ারার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে জেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিয়ারা তার মঠবাড়িয়ার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এসময় জেলা প্রশাসক যাতায়াতের খরচ দিয়ে দিয়েছেন। পিয়ারা যেন আয় করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সেজন্য ইতোমধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারামুক্তি লাভের পর পরই জেলা প্রশাসন থেকে পিয়ারা আক্তারকে চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। সে অনুসারে একটি উৎপাদন কারখানায় থাকা, খাওয়াসহ মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পিয়ারা আক্তার আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

পিয়ারা আক্তার জানান, জেল থেকে বের হওয়ার পর তার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। একটু সুস্থ হলে তবেই চাকরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। পিয়ারা আপাতত তার মায়ের সাথে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর ও মায়ের বয়স্ক ভাতা পেলে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বাকি জীবন স্বাভাবিকভাবে কাটাতে পারবেন বলে জানান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ঘর পাচ্ছেন ২৬ বছর সাজাভোগী পিয়ারা, মা পাবেন বয়স্কভাতা

আপডেট টাইম ০৫:৩৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

পিরোজপুর:: মঠবাড়িয়ায় চাচাতো বোনকে হত্যার দায়ে ২৬ বছর যাবজ্জীবন সাজা ভোগকারী পিয়ারা আক্তার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী উপহার ঘর ও তার বৃদ্ধ মা পাবেন বয়স্কভাতা। এ উদ্যোগ নিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসন। বরিশাল জেলা প্রশাসনের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিয়ারা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট হারজি গ্রামের মৃত আনিস মৃধার মেয়ে।

জানা গেছে, চাচাতো বোন শিশু মেহজাবীনকে হত্যার অভিযোগে ১৯৯৫ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১২ বছরের পিয়ারা আক্তারকে। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ এপ্রিল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেন আদালত।

এরপর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পিয়ারা দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ১০ জুন বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দিন হায়দারের বিশেষ বিবেচনায় চার বছর আগে মুক্তি পান। এরপরই পিয়ারা আক্তার মঠবাড়িয়ার ছোট হারজি গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা ছফুরা বেগমের সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে আসেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হলে ঘর ও বয়স্ক ভাতার কার্ড পিয়ারার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে জেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিয়ারা তার মঠবাড়িয়ার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এসময় জেলা প্রশাসক যাতায়াতের খরচ দিয়ে দিয়েছেন। পিয়ারা যেন আয় করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সেজন্য ইতোমধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারামুক্তি লাভের পর পরই জেলা প্রশাসন থেকে পিয়ারা আক্তারকে চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। সে অনুসারে একটি উৎপাদন কারখানায় থাকা, খাওয়াসহ মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পিয়ারা আক্তার আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

পিয়ারা আক্তার জানান, জেল থেকে বের হওয়ার পর তার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। দীর্ঘ ২৬ বছর কারাভোগে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। একটু সুস্থ হলে তবেই চাকরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। পিয়ারা আপাতত তার মায়ের সাথে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর ও মায়ের বয়স্ক ভাতা পেলে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বাকি জীবন স্বাভাবিকভাবে কাটাতে পারবেন বলে জানান।