ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: “ঈদ মানেই আনন্দ” “মানুষ মানুষের জন্য” মানবিকতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ও ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা সহ মিজানের পরিবারের সকল দায়িত্ব নিলেন। কথা ছিল খেলাধুলা করবে, স্কুলে যাবে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখবে! কিন্তু বাবা হারানোর পর পেটের দায়ে ১০ বছরের শিশু মিজানকে ধরতে হয় ভ্যানের হাতল! ভ্যান চালক মিজান! অথচ এই নিষ্ঠুর দুনিয়া, তার পেটের অন্ন যোগানোর অবলম্বন ভ্যানটিও ঈদের আগের রাতে কৌশলে ভুলিয়ে ভালিয়ে চুরি করে নেয় এক অমানুষ। ভ্যান হারিয়ে শোকে আছন্ন মিজানের কান্না হৃদয় ছুয়েছিল অনেকের! অনেকে দূঃখে ভারাক্রান্ত হয়েছিলাম। সেই ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরেই মিজানের পাশে দাড়িছে সাধারণ মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মিজানকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তার মুখে ঈদের হাসি ফিরিয়ে দিলেন মানবিকতার ফেরিওয়ালা সুজন। ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা কামারপুকুর নীলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মিজান (১০)। বাবা মারা যাওয়ার পরে নিজেই পরিবারের হাল ধরেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসারের ছোট বোন ও মা কে নিয়ে সুখেই কাটছিল মিজানের জীবন। কিন্তু গত ২০ই জুলাই দুপুরে একজন চোঁর ছলেবলে কৌশলে মিজানের ভ্যানটি তার কাছ থেকে চুড়ি করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মিজানের মুখের হাসিঁটি হারিয়ে গিয়েছে। কোনভাবেই মিজানের কান্না থামানো যাচ্ছিল না। মিজানের কান্নায় সেই এলাকার পরিবেশটা নিশ্চুপ হয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটুর ফেসবুক থেকে “মিজানের জীবনযুদ্ধের গল্প” নামে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে অনেকেই মিজানকে সহযোগীতার হাঁত বাড়িয়ে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদ এর দিনে মিজানের বাসায় ঈদ উদ্যাপন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন এবং মিজানকে ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান করেন। এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, মিজান এই ছোট্ট বয়সে সংসারের হাল ধরেছে। আমি ফেসবুকে তার হৃদয় বিদারক ঘটনাটি পড়ার পরেই তাকে সহযোগীতা করার জন্য তার বাসায় আসি। মিজান এর মত ছেলে আমাদের সমাজের গর্ব। এই বয়সে মা, বোন এর দায়িত্ব মিজানের উপর। আমি মিজানের মা এর একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহার আবাসন প্রকল্পের একটি ঘর দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো। তবে আশা থাকবে, মিজান ফিরুক পড়ার টেবিলে, আনন্দের শৈশবে। মিজানের কাছে কেমন লাগছে জানতে চাইলে মিজান বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনাই এভাবে আমার বাসায় ঈদ হবে কোনদিন। সব কিছু আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে। যারা আমার এই দুর্দিনে আমার পাশে দাড়িয়েছে তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু, হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ শিরোনাম
মিজানের বাসায় ঈদ আনন্দ, ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান
- সংবাদ সারাদিন ডেস্ক :
- আপডেট টাইম ০৪:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
- ৯৯ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ