ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবম শ্রেণি পাশ করা ইয়াবা কারবারি যখন সাংবাদিক!

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি::ইমরান নামে এক মাদক কারবারির নামে আছে দুটি মামলা। শিক্ষার দৌড় ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত হলেও হঠাৎ সাংবাদিক বনে যান! দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুইটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। গতকাল রাতে ঢুকে যান হাজী কাচ্চিঘরে। দাবি করেন এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা! না হলে ‘লাইভে’ হোটেলের ‘১২টা বাজানোর’ হুমকি দেন। কৌশলে হোটেল ম্যানেজার পুলিশকে ফোন দিলে হোটেলে গিয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. ইমরান (২৯) নগরীর আগ্রাবাদ ঢেবারপাড় এলাকার আব্দুর রহমান বাবুলের ছেলে। বাবা-মা ও ছেলে তিনজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমরানের পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার বাবা ডবলমুরিং থানার চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্দুর রহমান বাবুল প্রকাশ ওরফে ডাইল বাবুল। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। আর তার মা শারমিন আক্তার প্রকাশ ওরফে ডাইল শারমিন আগ্রাবাদ ডেবার পূর্বপাড় এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে তিনটি। ইমরানের বিরুদ্ধেও মামলা দুটি।

ইমরান দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে ‌‘হাজী কাচ্চি ঘর’ নামের এক বিরিয়ানি দোকানে যান ইমরান। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি সাংবাদিক পরিচয়পত্র, মোবাইল এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

হোটেলের ম্যানেজার শামীম বলেন, লকডাউনের জন্য তাদের শুধুমাত্র পার্সেলের খাবার চালু আছে এবং তা ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু দোকান মেরামতের কিছু কাজ থাকায় সাঁটার নামিয়ে কিছু কাজ চলছিল। এমন সময় ইমরান চলে আসেন। এসেই তিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বিরিয়ানি দিতে বলেন। বিরিয়ানি নেই বললে তিনি বলেন, ‘আমাদেরও যদি না খাওয়ান তাহলে খাওয়াবেন কাকে?’

হোটেলের ম্যানেজার আরও বলেন, এরপরও আমরা বিরিয়ানি নেই বললে তিনি ক্ষেপে যান এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। তিনি বলেন, লাইভে এখন এই হোটেলের ১২টা বাজানো হবে। হোটেল কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও ১ হাজার টাকা দাবি করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

নবম শ্রেণি পাশ করা ইয়াবা কারবারি যখন সাংবাদিক!

আপডেট টাইম ০৪:৪১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি::ইমরান নামে এক মাদক কারবারির নামে আছে দুটি মামলা। শিক্ষার দৌড় ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত হলেও হঠাৎ সাংবাদিক বনে যান! দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুইটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। গতকাল রাতে ঢুকে যান হাজী কাচ্চিঘরে। দাবি করেন এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা! না হলে ‘লাইভে’ হোটেলের ‘১২টা বাজানোর’ হুমকি দেন। কৌশলে হোটেল ম্যানেজার পুলিশকে ফোন দিলে হোটেলে গিয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. ইমরান (২৯) নগরীর আগ্রাবাদ ঢেবারপাড় এলাকার আব্দুর রহমান বাবুলের ছেলে। বাবা-মা ও ছেলে তিনজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমরানের পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার বাবা ডবলমুরিং থানার চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্দুর রহমান বাবুল প্রকাশ ওরফে ডাইল বাবুল। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। আর তার মা শারমিন আক্তার প্রকাশ ওরফে ডাইল শারমিন আগ্রাবাদ ডেবার পূর্বপাড় এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে তিনটি। ইমরানের বিরুদ্ধেও মামলা দুটি।

ইমরান দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে ‌‘হাজী কাচ্চি ঘর’ নামের এক বিরিয়ানি দোকানে যান ইমরান। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি সাংবাদিক পরিচয়পত্র, মোবাইল এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

হোটেলের ম্যানেজার শামীম বলেন, লকডাউনের জন্য তাদের শুধুমাত্র পার্সেলের খাবার চালু আছে এবং তা ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু দোকান মেরামতের কিছু কাজ থাকায় সাঁটার নামিয়ে কিছু কাজ চলছিল। এমন সময় ইমরান চলে আসেন। এসেই তিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বিরিয়ানি দিতে বলেন। বিরিয়ানি নেই বললে তিনি বলেন, ‘আমাদেরও যদি না খাওয়ান তাহলে খাওয়াবেন কাকে?’

হোটেলের ম্যানেজার আরও বলেন, এরপরও আমরা বিরিয়ানি নেই বললে তিনি ক্ষেপে যান এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। তিনি বলেন, লাইভে এখন এই হোটেলের ১২টা বাজানো হবে। হোটেল কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও ১ হাজার টাকা দাবি করেন।