কতোটা জ্ঞানত ভয়ঙ্কর অরক্ষিত এলাকাকে আমরা স্বাধীন ভূমিতে অবাধ বিচরণে সুযোগ দিয়ে রেখেছি তা কেউ টের পাচ্ছিনা। অথচ আমরা সবাই ব্যাপারটা জানি, তবে কোনো একটা বিশেষ লেভেল পর্যন্ত। জেনে বুঝেও না জানা বা বুঝার ভান করে যাচ্ছি, অথবা গুরুত্ব দিচ্ছিনা। শিহরণের বিষয়, আমাদের দেশের স্বাধীন ভূমির স্বাধীন নাগরিকরাই প্রকাশ্যে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ আমরা কেউ এই ব্যাপারে কোনো রকম ওয়াকিবহাল নই।
আজ বড়ো প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সামনে, চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলগুলি কি সম্পূর্ণ স্বাধীন সুরক্ষা পাবেনা? প্রতিদিন সেখানে কোনো না কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। পাহাড়ি কয়েকটা সশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়ণের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দিয়েছে যে, প্রকাশ্যে গুলি করে মারতেও দ্বিধা করছেনা।
![](https://facethepeople.net/wypseedr/2021/06/add-bg-20210624142004-1024x533.jpg)
আমরা সবাই জানি, সরকারি অফিসারদের সবচে অপছন্দের জায়গা হলো পার্বত্য অঞ্চল। সবাই ভীতিতে থাকে কখন যেনো হিলট্রাকসে বদলি হবার নির্দেশ আসে। হিলট্র্যাকসে বদলি না করার জন্য কত লম্ফ-ঝম্প এবং বড়ো অংকের ঘুষও লেনদেন হয়। বিষয়গুলি এতটাই স্বাভাবিক যে, আজকাল এগুলি ছোটো বাচ্চারাও জানে।
পাহাড় থেকে শুরু করে দেশের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের শেষ টুকরো জমিও আমার দেশের ও মানুষের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে এটাই স্বাভাবিক। কাদের সহযোগিতায়, কাদের ইন্ধনে এতো বড়ো বিস্তীর্ণ অঞ্চল অরক্ষিত ও সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর আখড়ায় আবদ্ধ হয়ে আছে।
সময় এসেছে ভাববার। পার্বত্য অঞ্চলকে অপরূপ ভাবে ঢেলে সাজিয়ে দেশের মানুষের জন্য চমৎকার পর্যটন অঞ্চলে পরিণত করা যায়। সাজেক ভ্যালি ও অন্যান্য এলাকা যথারীতি প্রমান রেখেছে।
পাহাড়িরা বাংলাদেশের নাগরিক, তারা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বড়ো পর্যটন কেন্দ্র হলে তাঁদের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান হবে নিঃসন্দেহে।
সরকারকে আহ্বান করছি, সকল চুক্তি বাতিল করুন। কোনো চুক্তিভিত্তিক নয়, স্বাধীন দেশের স্বাধীন ভূমিকে সুরক্ষিত করে সেখানকার সকল পর্যায়ের মানুষকে স্বাভাবিক জীবন ও সমাজে অন্তর্ভুক্ত করুন। বিদেশী কোনো অপশক্তির ইন্ধন থাকলে দেশের মানুষকে নিয়ে প্রতিহত করুন। পাহাড়িদের সকল সুযোগ সুবিধা সহ সমস্ত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করুন। সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সবুজে ঘেরা অঞ্চলটিকে প্রথম পছন্দের জায়গা হিসেবে তৈরী করে তুলুন।
সবশেষে, অঞ্চলটিকে পাহাড়ি বাঙালিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে সর্বোচ্চ যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অন্যথায় নিজ ঘরে শত্রু বিভীষণের ষড়যন্ত্রে তছনছ হয়ে যাবে আমাদের পুরো দেশের সার্বভৌমত্ব।
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের ১৬ কোটি জনগণ সর্বদায় সরকারের পাশে রয়েছে।