ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধি ভাতা আত্বসাত নয়, এটি ছিল দাপ্তরিক তথ্যগত ভুল

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি মহিলার ভাতা আত্বসাতের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা মেলেনি। মূলত এটি ছিল দাপ্তরিক ভুলের ফসল। এই ভুলের বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মহল ঘোলাজলে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন।
জানা যায় পৌরশহরের রঘুনাথপুর মৌজার শারিরিক প্রতিবন্ধি ফাতেমা বেগম স্বামী মৃত মজিবর রহমান এর প্রতিবন্ধি ভাতা জুলাই/২০ থেকে চালু হয়। এই ভাতা পৌরসভার পক্ষে তালিকাভুক্ত করান মহিলা কাউন্সিলর মোছা. সাহেবা বেগম। ভাতা চালুর প্রাক্কালে সাহেবা বেগম বা সংশ্লিস্ট যে কেউ ভাতাভোগীর মোবাইল নম্বরের স্থলে কাউন্সিলরের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন ফলে ভাতা’র ১ম কিস্তির ৪৫০০ টাকা কাউন্সিলরের নাম্বারে সেন্ট হয়ে যায়। ১ম কিস্তির টাকা না পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্টরা আগের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে ভাতাভোগীর প্রকৃত মোবাইল নাম্বার অন্তভুক্ত করেন ফলে এপ্রিল টু জুন এবং অক্টোবর টু ডিসেম্বর/২০ ভাতা’র ৪৫শ’৩০ টাকা ভাতাভোগীর মোবাইল নাম্বারে ঢোকে। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি ফাতেমা তার ১ম কিিিস্তর টাকা উদ্ধারের জন্য পৌর মেয়র মো: ইকরামুল হক বরাবরে ১২ আগষ্ট লিখিত আবেদন করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে রক্ষিত প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, টাকাটা ০১৭৯৭৯৩৭০০৪ নম্বরে গত ৩১.০৫.২১ ইং তারিখে সেন্ড হয়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষদের সহায়তায় ভাতা আত্নসাৎ হয়েছে মর্মে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসেন দায়িত্বশীলরা। পরে বিসয়টি সমাজসেবা কতৃপক্ষ বিকাস সহ উদ্ধতন দপ্তরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, টাকা সেন্ড হওয়া নাম্বারটির বিকাশ খোলা না থাকায় ১ম কিস্তির টাকা ফেরত হয়েছে। সমাজসেবা বিভাগের ১৯ আগষ্ট দেয়, পে রোল রিকন্সিলিয়েশন প্রতিবেদনে দেখা যায় ভাতাভোগী ফাতেমাবেগমের দেয় মোবাইল নাম্বার ইনভেলিড হওয়ায় কেন্দ্রীয় আইবাস এটিকে রিটার্নাড বা ফেরত রিপোর্ট দেখিয়েছে। অর্থাৎ এই টাকা আত্নসাৎ হয়নি বা কারো নাম্বারে ঢোকেনি বরং তা এখনো ঝুলন্ত রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, ভুল হতেই পারে তবে আমি আশা করছি, খুব শিগগীরই ভাতাভোগীর একাউন্টে এই টাকা পেমেন্ট হয়ে যাবে। তাই বিষয়টি দাপ্তরিক ভুল বা তথ্যগত ভুল হিসেবে চিহিৃত হয়েছে। এ ব্যাপরে পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক বলেন, টাকাটা প্রকৃত ভাতাভোগী এখনো পায়নি, তবে যে বা যারাই এ ঘটনার জন্য দায়ি আমি তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধি ভাতা আত্বসাত নয়, এটি ছিল দাপ্তরিক তথ্যগত ভুল

আপডেট টাইম ০১:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি মহিলার ভাতা আত্বসাতের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা মেলেনি। মূলত এটি ছিল দাপ্তরিক ভুলের ফসল। এই ভুলের বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মহল ঘোলাজলে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন।
জানা যায় পৌরশহরের রঘুনাথপুর মৌজার শারিরিক প্রতিবন্ধি ফাতেমা বেগম স্বামী মৃত মজিবর রহমান এর প্রতিবন্ধি ভাতা জুলাই/২০ থেকে চালু হয়। এই ভাতা পৌরসভার পক্ষে তালিকাভুক্ত করান মহিলা কাউন্সিলর মোছা. সাহেবা বেগম। ভাতা চালুর প্রাক্কালে সাহেবা বেগম বা সংশ্লিস্ট যে কেউ ভাতাভোগীর মোবাইল নম্বরের স্থলে কাউন্সিলরের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন ফলে ভাতা’র ১ম কিস্তির ৪৫০০ টাকা কাউন্সিলরের নাম্বারে সেন্ট হয়ে যায়। ১ম কিস্তির টাকা না পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্টরা আগের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে ভাতাভোগীর প্রকৃত মোবাইল নাম্বার অন্তভুক্ত করেন ফলে এপ্রিল টু জুন এবং অক্টোবর টু ডিসেম্বর/২০ ভাতা’র ৪৫শ’৩০ টাকা ভাতাভোগীর মোবাইল নাম্বারে ঢোকে। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি ফাতেমা তার ১ম কিিিস্তর টাকা উদ্ধারের জন্য পৌর মেয়র মো: ইকরামুল হক বরাবরে ১২ আগষ্ট লিখিত আবেদন করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে রক্ষিত প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, টাকাটা ০১৭৯৭৯৩৭০০৪ নম্বরে গত ৩১.০৫.২১ ইং তারিখে সেন্ড হয়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষদের সহায়তায় ভাতা আত্নসাৎ হয়েছে মর্মে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসেন দায়িত্বশীলরা। পরে বিসয়টি সমাজসেবা কতৃপক্ষ বিকাস সহ উদ্ধতন দপ্তরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, টাকা সেন্ড হওয়া নাম্বারটির বিকাশ খোলা না থাকায় ১ম কিস্তির টাকা ফেরত হয়েছে। সমাজসেবা বিভাগের ১৯ আগষ্ট দেয়, পে রোল রিকন্সিলিয়েশন প্রতিবেদনে দেখা যায় ভাতাভোগী ফাতেমাবেগমের দেয় মোবাইল নাম্বার ইনভেলিড হওয়ায় কেন্দ্রীয় আইবাস এটিকে রিটার্নাড বা ফেরত রিপোর্ট দেখিয়েছে। অর্থাৎ এই টাকা আত্নসাৎ হয়নি বা কারো নাম্বারে ঢোকেনি বরং তা এখনো ঝুলন্ত রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, ভুল হতেই পারে তবে আমি আশা করছি, খুব শিগগীরই ভাতাভোগীর একাউন্টে এই টাকা পেমেন্ট হয়ে যাবে। তাই বিষয়টি দাপ্তরিক ভুল বা তথ্যগত ভুল হিসেবে চিহিৃত হয়েছে। এ ব্যাপরে পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক বলেন, টাকাটা প্রকৃত ভাতাভোগী এখনো পায়নি, তবে যে বা যারাই এ ঘটনার জন্য দায়ি আমি তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই।