ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশার বাণী শোনালেন ড. টেডরোস

ডেস্ক:: আশার আলো দেখা দিতে দিতে গত বছরটির শেষ দিকে আবার করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্ববাসী। সেই ধকল নতুন বছরে এসে পা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস আশার বাণী শুনিয়েছেন। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে করোনাভাইরাস মহামারিকে পরাজিত করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। আহ্বান জানিয়েছেন সব দেশকে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে একযোগে কাজ করার। তিনি নতুন বছর উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদ করার বিরুদ্ধে সতর্কতা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

দুই বছর আগে চীনের উহান শহরে প্রথম অজ্ঞাত এক নিউমোনিয়া দেখা দেয়। দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে তার। বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দেয় কোভিড-১৯। তারপর দুই বছর কেটে গেছে। এরই মধ্যে বিশ্বের দেশে দেশে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৫ লাখ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ কোটি ৭০ লাখ। নতুন করে এই শীত মৌসুমে আবার থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাইরাসটির অধিক সংক্রমণ ক্ষমতা রাখা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ফলে আবার দেশে দেশে বিধিনিষেধ, লকডাউন চালু হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে বরণ করা হয়েছে নতুন বছরকে। অনেক দেশে প্রকাশ্যে জনসমাবেশকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক স্থানে মানুষ বিভিন্নভাবে বরণ করে নিয়েছে নতুন বছরকে।
করোনা ভাইরাস এখন মানুষের জীবনের সঙ্গে যেন জড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাস এমন এক রোগ সৃষ্টি করেছে, যা বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। পরিবারগুলোকে করেছে বিচ্ছিন্ন। তা সত্ত্বেও ড. টেডরোস ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন নতুন বছরকে সামনে রেখে। বলেছেন, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এখন অনেকগুলো মাধ্যম এসেছে। সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, টিকার অসম বন্টনের কারণে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

আশার বাণী শোনালেন ড. টেডরোস

আপডেট টাইম ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

ডেস্ক:: আশার আলো দেখা দিতে দিতে গত বছরটির শেষ দিকে আবার করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্ববাসী। সেই ধকল নতুন বছরে এসে পা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস আশার বাণী শুনিয়েছেন। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে করোনাভাইরাস মহামারিকে পরাজিত করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। আহ্বান জানিয়েছেন সব দেশকে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে একযোগে কাজ করার। তিনি নতুন বছর উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদ করার বিরুদ্ধে সতর্কতা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

দুই বছর আগে চীনের উহান শহরে প্রথম অজ্ঞাত এক নিউমোনিয়া দেখা দেয়। দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে তার। বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দেয় কোভিড-১৯। তারপর দুই বছর কেটে গেছে। এরই মধ্যে বিশ্বের দেশে দেশে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৫ লাখ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ কোটি ৭০ লাখ। নতুন করে এই শীত মৌসুমে আবার থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাইরাসটির অধিক সংক্রমণ ক্ষমতা রাখা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ফলে আবার দেশে দেশে বিধিনিষেধ, লকডাউন চালু হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে বরণ করা হয়েছে নতুন বছরকে। অনেক দেশে প্রকাশ্যে জনসমাবেশকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক স্থানে মানুষ বিভিন্নভাবে বরণ করে নিয়েছে নতুন বছরকে।
করোনা ভাইরাস এখন মানুষের জীবনের সঙ্গে যেন জড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাস এমন এক রোগ সৃষ্টি করেছে, যা বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। পরিবারগুলোকে করেছে বিচ্ছিন্ন। তা সত্ত্বেও ড. টেডরোস ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন নতুন বছরকে সামনে রেখে। বলেছেন, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এখন অনেকগুলো মাধ্যম এসেছে। সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, টিকার অসম বন্টনের কারণে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।