অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন পূরণে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দক্ষ, যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অর্থ মন্ত্রণায়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ১৯.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। এডিবি করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য ৯৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা এবং ৯.৩৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান সহায়তা দেয়ায় এডিবিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও উন্নয়ন সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে বলে জানিয়েছেন এডিবির নির্বাহী পরিচালক।
সাক্ষাৎকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিংটংসহ উভয় সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।