আজম রেহমান:: আগামী জাতীয় সংসদ উপ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ- রানীশংকৈল)আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হতে চান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম। এজন্য তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে লিখিত আবেদন করবেন বলে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
তিনি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আর যদি না পাই তাহলে যিনি দলের মনোনয়ন পাবেন তার প্রতি আমি সহ আমার কর্মীদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
তার রাজনৈতিক পথ চলা শুরু ১৯৭৮ সালে রাশেদ খান মেনেনের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন এর সময় থেকে।
স্থানীয় গরুচুরি, বৈদ্যুতিক তার চুরির বিরুদ্ধে মিটিং মিছিলে অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে। প্রযাত হায়দার আলী মাসাটারের অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠেন।
১৯৭৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করেন।
তখন বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার মধ্যদিযে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক কর্মী থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নে প্রথমে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব ও পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে হামলা মামলার বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালযে রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকাল নাট্যচক্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পথনাটকে অভিনয়ে অংশ নেয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাস্ট্রপতি এরশাদকে স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে না দেওয়ার মিছিল বের করার একজন উদ্দোক্তা ছিলেন তিনি।
সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কর্মচারী দাবী আদায় সহ দেশের চলমান রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে সকল কর্মসূচি তে অংশগ্রহণ করা সহ ছাত্র অবস্থায় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের জমি সমস্যা
নিয়ে আন্দোলনের এক পর্যায়ে জেল ও হাজতে কারা বরন করেন।
আমাদের জেলে যাওয়ার বিনিময়ে কলেজ আজ বৃহৎ ক্যাম্পাস পেয়েছে। ১-১-১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি।
ইংরেজি ১৯৯৩, বাংলা ১৪০০ সালে শতাব্দী বরণ উৎসবের মধ্য দিয়ে রাণীশংকৈলে বৈশাখী (মেলা) উৎসবের সূচনা হয। অনেক চড়াই – উৎরাই পার করে এখনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবছর বৈশাখী মেলা। আমি সেই প্রথম দিনের আড়ম্বর বিহীন তিনদিনের মেলা থেকে ১২ দিনের উৎসবের সেই প্রথম দিনের মেলা থেকে আজ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ২৯ বছর।
কলেজে শিক্ষকতার এক পর্যায়ে ২০১২ – ২০২০ অবসরের তারিখ পর্যন্ত টানা ৮ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছি। কলেজে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০১৪ সালে নিজ গ্রামের আদিবাসী স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে গড়ে তুলি রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমি। যে সংগঠনের নাম এখন এলাকার সহ দেশব্যাপী কমবেশি সবাই জানে।
২০১৭ সালে সেরা দশে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আই সিটি উপদেষ্টা সজীব ওযাজেদ জয এর হাত থেকে জয বাংলা এওযার্ড অর্জন। ২০১৭ সালে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন একই সালে জাতীয় অনুর্ধ ১৪ জেএফএ কাপে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে,
২০১৭ এবং ২০১৮ সালে।কযেকটি ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন হয় । আমি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে আমি উক্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হই।
আমি বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য। ওযার্কার্স পার্টি আমাকে মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে। মানুষের মধ্যে যে অসীম সম্ভাবনা আছে
সে কথা ওয়ার্কার্স পার্টি শিখিয়েছে.মহান মুক্তিযুদ্ধে ভাই হারানো বেদনা আমাকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শিখিয়েছে।
স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রত্যযী করে তুলেছে।
এছাড়াও বর্তমান তিনি আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি রানীশংকৈল এর প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন ।