ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়দিনের আনন্দে মেতেছেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন কামনায় পালিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতেছেন তারা। সারা দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বড়দিন। সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন ভক্তরা। পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির পর এবারের বড়দিনে সমবেতদের প্রত্যাশা, বিশ্ব থেকে মুছে যাবে সব অস্থিরতা।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেখা গেছে, পৌষের ঘনকুয়াশায় রাজধানীর বিভিন্ন গির্জায় ভিড় করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। সূর্য যখন মাত্র উঁকি দিচ্ছে তখনই প্রতিটি চার্চে প্রার্থনার সুরে মুখরিত চারদিক। রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রাল চার্চে গান, প্রার্থনা ও যিশুর মহিমাকীর্তনের মাধ্যমে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিভিন্ন রকম আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই বড়দিনেই মাতা মেরির কোলজুড়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। তাই খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয় এ দিনটি।

করোনা মহামারির পর এবার বাধাহীনভাবে বড়দিন পালন করতে পারছেন সকলে। তাই আনন্দটা এবার অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি। চার্চে আসা ভক্তরা জানান, সারা পৃথিবীতে আমরা একযুগে বড়দিন পালন করছি। এই দিনে প্রভু যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা খ্রিস্টান ভাই-বোনেরা এই দিনটিতে এক হয়ে উৎসবের মাধ্যেমে পালন করে থাকি।

ধর্মগুরুরা বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

বড়দিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, সব শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।’

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

বড়দিনের আনন্দে মেতেছেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা

আপডেট টাইম ০১:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন কামনায় পালিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতেছেন তারা। সারা দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বড়দিন। সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন ভক্তরা। পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির পর এবারের বড়দিনে সমবেতদের প্রত্যাশা, বিশ্ব থেকে মুছে যাবে সব অস্থিরতা।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেখা গেছে, পৌষের ঘনকুয়াশায় রাজধানীর বিভিন্ন গির্জায় ভিড় করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। সূর্য যখন মাত্র উঁকি দিচ্ছে তখনই প্রতিটি চার্চে প্রার্থনার সুরে মুখরিত চারদিক। রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রাল চার্চে গান, প্রার্থনা ও যিশুর মহিমাকীর্তনের মাধ্যমে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিভিন্ন রকম আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই বড়দিনেই মাতা মেরির কোলজুড়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। তাই খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয় এ দিনটি।

করোনা মহামারির পর এবার বাধাহীনভাবে বড়দিন পালন করতে পারছেন সকলে। তাই আনন্দটা এবার অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি। চার্চে আসা ভক্তরা জানান, সারা পৃথিবীতে আমরা একযুগে বড়দিন পালন করছি। এই দিনে প্রভু যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা খ্রিস্টান ভাই-বোনেরা এই দিনটিতে এক হয়ে উৎসবের মাধ্যেমে পালন করে থাকি।

ধর্মগুরুরা বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

বড়দিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, সব শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।’