স্টাফ রিপোর্টার:: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে (২২) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মুঠোফোনে নগ্ন ভিডিও-ছবি ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. সোহেল (৩০)। তিনি উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন সর্দারের নতুন বাড়ির সাহাব উদ্দিন সর্দারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে ভিডিও কলে বিয়ে দেয়া হয়। অভিযুক্ত যুবক ভিকটিমের স্বামীর বন্ধু। ভিকটিমের স্বামী প্রবাসী। নিজে প্রবাসে থাকায় তিনি তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন বাজার সদাই করে দিতেন। এ সুযোগে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সোহেল তাকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং মুঠোফোনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।পরে ভুক্তভোগী পরিবার অপহরণকারীর পরিবারকে চাপ দিলে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিমকে বসুরহাট বাসস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় সোহেল। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, এর আগেও সোহেল ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। সোহেল ভিকটিমকে হুমকি দেয় তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা এবং শারীরিক সম্পর্ক বজায় না রাখলে মোবাইলে থাকা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে। গৃহবধূর মুঠোফোনে তার নগ্ন ভিডিও ছবি প্রেরণ করে সোহেল। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।