অনলাইন::একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তার বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে সাঈদীর লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পিরোজপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
মাসুদ সাঈদী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, এখানেই শুয়ে আছেন তার (সাঈদী) অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাই হুমায়ুন কবীর সাঈদী, তার কন্যাসম বড় পুত্রবধু সুমাইয়া রাফীক সাঈদী।
স্থানীয় জামায়াত সূত্র জানায়, জোহরের নামাজ শেষে জানাজা সম্পন্ন করে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে সাঈদীকে দাফন করা হবে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালেই সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তার কবর খনন শুরু হয়েছে।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকেই পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ। উপজেলার চন্ডিপুর, বালিপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন জানান, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান জানিয়েছেন, ‘উনার দুই বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’
দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে থাকা অবস্থায় ১৩ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সাঈদীর।