ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

পরিত্যক্ত ভবন থেকে একে একে উদ্ধার ১১৫ লাশ

অনলাইন ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোরের ফ্রেমন্ট শহরের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গন্ধ ছাড়ানোর পর পুলিশ গিয়ে একে একে লাশগুলো উদ্ধার করে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা নিউইয়র্ক টাইমস ও এপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, পরিত্যক্ত ওই ভবনটি রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। তার টাকার বিনিময়ে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেয়। সেই প্রতিষ্ঠানটিই সেখানে এতগুলো লাশ রেখেছিল। কিন্তু কেন রেখেছিল, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।

তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, তিনি মরদেহগুলোর ট্যাক্সিডার্মি করিয়েছিলেন, তার পরও কেন দুর্গন্ধ ছড়াল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। ট্যাক্সিডার্মি হলো এমন এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মানুষ বা কোনো প্রাণীর মরদেহের চামড়াকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়। হালফোর্ডের দাবি, তিনি এই ভবনটিতে মরদেহের ট্যাক্সিডার্মির কাজ করতেন। রাজ্য কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে সিল করে দিয়েছে।

রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোমের মালিক জন হালফোর্ড আরও দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভবনটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। তবে ঝামেলা কী ধরনের সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি এখনো। তবে কলোরাডো অঙ্গরাজ্য সরকারের নথি বলছে, হালফোর্ড অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও সৎকারের জন্য ভবনটির নিবন্ধন করলেও সেখানে ট্যাক্সিডার্মি করার কোনো অনুমতি ছিল বলে তার নিবন্ধনপত্রে লেখা নেই। এ ছাড়া আগামী মাসেই ভবনটির নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।

ফ্রেমন্টের শেরিফ অ্যালেন কুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভাগ জানিয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি জানান, ভবনটির ভেতরের দৃশ্য পুরোপুরি ভয়াবহ।

ফ্রেমন্ট কাউন্টির করোনার র‌্যান্ডি কেলার জানান, অধিকাংশ মরদেহই গলে গেছে। তাই পরিচয় শনাক্তের জন্য সেগুলোর আঙুলের ছাপ, ডেন্টাল রেকর্ড বা ডিএনএ টেস্ট করা হবে। তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক মাস লেগে যাবে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে জানানো হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

পরিত্যক্ত ভবন থেকে একে একে উদ্ধার ১১৫ লাশ

আপডেট টাইম ১২:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোরের ফ্রেমন্ট শহরের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গন্ধ ছাড়ানোর পর পুলিশ গিয়ে একে একে লাশগুলো উদ্ধার করে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা নিউইয়র্ক টাইমস ও এপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, পরিত্যক্ত ওই ভবনটি রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। তার টাকার বিনিময়ে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেয়। সেই প্রতিষ্ঠানটিই সেখানে এতগুলো লাশ রেখেছিল। কিন্তু কেন রেখেছিল, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।

তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, তিনি মরদেহগুলোর ট্যাক্সিডার্মি করিয়েছিলেন, তার পরও কেন দুর্গন্ধ ছড়াল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। ট্যাক্সিডার্মি হলো এমন এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মানুষ বা কোনো প্রাণীর মরদেহের চামড়াকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়। হালফোর্ডের দাবি, তিনি এই ভবনটিতে মরদেহের ট্যাক্সিডার্মির কাজ করতেন। রাজ্য কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে সিল করে দিয়েছে।

রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোমের মালিক জন হালফোর্ড আরও দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভবনটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। তবে ঝামেলা কী ধরনের সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি এখনো। তবে কলোরাডো অঙ্গরাজ্য সরকারের নথি বলছে, হালফোর্ড অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও সৎকারের জন্য ভবনটির নিবন্ধন করলেও সেখানে ট্যাক্সিডার্মি করার কোনো অনুমতি ছিল বলে তার নিবন্ধনপত্রে লেখা নেই। এ ছাড়া আগামী মাসেই ভবনটির নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।

ফ্রেমন্টের শেরিফ অ্যালেন কুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভাগ জানিয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি জানান, ভবনটির ভেতরের দৃশ্য পুরোপুরি ভয়াবহ।

ফ্রেমন্ট কাউন্টির করোনার র‌্যান্ডি কেলার জানান, অধিকাংশ মরদেহই গলে গেছে। তাই পরিচয় শনাক্তের জন্য সেগুলোর আঙুলের ছাপ, ডেন্টাল রেকর্ড বা ডিএনএ টেস্ট করা হবে। তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক মাস লেগে যাবে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে জানানো হবে।