ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নির্বাচনে না এলে কোন পক্ষ নেবে জাতীয় পার্টি?

অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জলপনা কল্পনা। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা নিয়ে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিরা এক যৌথ সভায় মিলিত হন।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান কী হবে সেটা এখনই খোলাসা করবে না জাপা। নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে তাগিদ; তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

তবে বিদেশিদের তাগিদ উপেক্ষা করে সরকার যদি বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনে যায়, তাহলে আসন বাড়ানোই হবে দলটির লক্ষ্য।

দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাপা যেভাবে আছে, নির্বাচনের তফশিল পর্যন্ত সেভাবেই থাকবে। বক্তৃতা-বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। আলোচনায় থাকতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মিসভা করবে দলটি। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে যৌথসভা থেকে জি এম কাদেরকে দেওয়া হয়েছে একক ক্ষমতা।

৫১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ৩৮ এমপি অংশ নেন এ সভায়। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সভায় অংশ নেননি তারা। বাকি ১১ জন অসুস্থতা, ব্যস্ততা এবং বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি বলে জাপা নেতারা জানিয়েছেন। সভায় ৩৫ জন বক্তৃতা করেন।

সভা সূত্র জানিয়েছে, তাদের সবাই এক বাক্যে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে– তা নির্ধারণের পরিবেশ ও সময় হয়নি।

এ বিষয়ে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এ সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ভোটের এখনো তিন মাস বাকি। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচনে অংশ নিলে কারও সঙ্গে জোট হবে কিনা– এ সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জোটের বিষয়ে যে কেনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দলের চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।

জাপা সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সভায় বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনও সুদৃঢ়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সরকার অনড় রয়েছে। বিএনপির আন্দোলন সরকারকে টলাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাগিদ দিলেও বড় ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টির বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ নেই। রাজনীতিতে টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা উচিত। নইলে আগামী সংসদে জায়গা হারাতে হবে বলে জাপার একাধিক এমপি সভায় জানান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নির্বাচনে না এলে কোন পক্ষ নেবে জাতীয় পার্টি?

আপডেট টাইম ১২:৩০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জলপনা কল্পনা। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা নিয়ে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিরা এক যৌথ সভায় মিলিত হন।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান কী হবে সেটা এখনই খোলাসা করবে না জাপা। নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে তাগিদ; তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

তবে বিদেশিদের তাগিদ উপেক্ষা করে সরকার যদি বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনে যায়, তাহলে আসন বাড়ানোই হবে দলটির লক্ষ্য।

দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাপা যেভাবে আছে, নির্বাচনের তফশিল পর্যন্ত সেভাবেই থাকবে। বক্তৃতা-বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। আলোচনায় থাকতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মিসভা করবে দলটি। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে যৌথসভা থেকে জি এম কাদেরকে দেওয়া হয়েছে একক ক্ষমতা।

৫১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ৩৮ এমপি অংশ নেন এ সভায়। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সভায় অংশ নেননি তারা। বাকি ১১ জন অসুস্থতা, ব্যস্ততা এবং বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি বলে জাপা নেতারা জানিয়েছেন। সভায় ৩৫ জন বক্তৃতা করেন।

সভা সূত্র জানিয়েছে, তাদের সবাই এক বাক্যে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে– তা নির্ধারণের পরিবেশ ও সময় হয়নি।

এ বিষয়ে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এ সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ভোটের এখনো তিন মাস বাকি। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচনে অংশ নিলে কারও সঙ্গে জোট হবে কিনা– এ সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জোটের বিষয়ে যে কেনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দলের চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।

জাপা সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সভায় বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনও সুদৃঢ়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সরকার অনড় রয়েছে। বিএনপির আন্দোলন সরকারকে টলাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাগিদ দিলেও বড় ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টির বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ নেই। রাজনীতিতে টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা উচিত। নইলে আগামী সংসদে জায়গা হারাতে হবে বলে জাপার একাধিক এমপি সভায় জানান।