ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণে এ কথা বলেন তিনি।  কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কোন দল এলো না এলো সেটি বিষয় না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল হবে। তিনি বলেন, জনগণকে দেখতে হবে যে, নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল কিনা। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন কিনা এবং ভোট দিতে পেরেছেন কিনা। এটুকু যদি আমরা সবাই দেখাতে পারি, কে আসলো কে আসলো না, জনগণ যদি আসে, ভোটাররা যদি আসে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তাহলে আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি নির্বাচনে একটা বড় সফলতা অর্জন হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন কঠিন কর্মযজ্ঞ, সহজ নয়। চাইলাম আর হয়ে গেল এমন নয়। নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এর অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। কমিশনে যারা আছেন (জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) সিইসি হিসেবে তাদের কাছে আমার অনুরোধ, জনগণের কাছে নির্বাচনটা যেন গ্রহণযোগ্য হয় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই চেষ্টা করতে হবে।

সিইসি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা এক হাজার ২০০ নির্বাচন করেছি। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেভাবে সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। পেশাদারিত্বের সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও আপনারা রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হবেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল

আপডেট টাইম ০৭:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণে এ কথা বলেন তিনি।  কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কোন দল এলো না এলো সেটি বিষয় না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল হবে। তিনি বলেন, জনগণকে দেখতে হবে যে, নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল কিনা। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন কিনা এবং ভোট দিতে পেরেছেন কিনা। এটুকু যদি আমরা সবাই দেখাতে পারি, কে আসলো কে আসলো না, জনগণ যদি আসে, ভোটাররা যদি আসে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তাহলে আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি নির্বাচনে একটা বড় সফলতা অর্জন হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন কঠিন কর্মযজ্ঞ, সহজ নয়। চাইলাম আর হয়ে গেল এমন নয়। নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এর অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। কমিশনে যারা আছেন (জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) সিইসি হিসেবে তাদের কাছে আমার অনুরোধ, জনগণের কাছে নির্বাচনটা যেন গ্রহণযোগ্য হয় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই চেষ্টা করতে হবে।

সিইসি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা এক হাজার ২০০ নির্বাচন করেছি। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেভাবে সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। পেশাদারিত্বের সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও আপনারা রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হবেন।