ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে দেশবাসী মুগ্ধ পীরগঞ্জে মিলন মেলায় এমপি—রমেশ পীরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবস পালিত স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি পুলিশ ও মাদক দব্য নিয়ন্ত্রন বিভাগের পৃথক অভিযানে ২৬০ পিস ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক আন্ত:জেলা জুয়া চক্রের গডফাদার কুখ্যাত জুয়ারী চোখা সহ ৩ জুয়াড়ী আটক পীরগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে ৩ জুয়ারী আটক পীরগঞ্জে ১২৩ পিস টার্পেন্টাডল সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ঠাকুরগাঁওয়ে নারী উদ্যোক্তাদের গার্লস মিটআপ অনুষ্ঠিত জোড়া তালি দিয়ে চলছে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট! ঠাকুরগাঁওয়ে টার্পেন্টাডল সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঠাকুরগাঁও–৩ আসন ছেড়ে দেয়ায়- আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে শোকের ছায়া, হতাশা

আজম রেহমান :: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল এলাকায় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে নেমে এসেছে মারাত্নক শোক ও হতাশা। ১৯৯৬ সালে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবার পর ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি ইমদাদুল হক জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ এর কাছে হেরে যান। এরপরই শুরু হয় জোটবদ্ধ নির্বাচন। জোটের কারনে দল থেকে আরও দুই দফা মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হয় ইমদাদুল হককে। পরপর দু’বার প্রত্যাহারের পর এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইমদাদুল হককে আবারও মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবারো আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে ইমদাদুল হকের। এ সিদ্ধান্তে আবারও দলীয় সংসদ সদস্য না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। জোটের শরিকদের হাতে বারবার আসনটি ছেড়ে দেয়ায় শক্তিশালী আওয়ামীলেগের এখানে অবস্থান নড়বরে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা যেন আর নেতা-কর্মীরা মানতে চাইছেননা। তাদের ধৈয্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।
এ সম্পর্কে রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক বলেন, ‘আসনটি দলকে বঞ্চিত করে আবারও ছেড়ে দেওয়া হলো। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। দলীয় মনোনয়ন নিজেদের মধ্যে দেয়ায় তৃণমূলে যে হতাশা ছিল, তা কেটে গিয়েছিল। কিন্তু এবারও একই ঘটনা ঘটল। এখন দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল।’
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, জননেত্রী যা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। দলের স্বার্থে , দেশের স্বার্থে মেনে নিতে হয়েছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুর্গ বেশ মজবুত। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১৯৯১ সালে মরহুম মোকলেসুর রহমান ও ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহসভাপতি ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের কাছে হেরে যান। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেলেও জোটগত নির্বাচন করার কারণে তাঁকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসনটি ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন ইয়াসিন আলী কিন্তু ইমদাদুল হক ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। দিনে রাতে ভোট করেও এ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমানের কাছে তিনি পরাজিত হন। জাহিদুর রহমানের ছেড়ে দেওয়া আসনে মনোনয়নের আবেদন করেন ইমদাদুল হক। কিন্তু সে সময় আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় ইমদাদুল হক মনোনয়ন বঞ্চিত হন।
এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে ইমদাদুল হক ছাড়াও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহসভাপতি ও পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান, রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক, রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম, রানীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রবিউল ইসলাম দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড ইমদাদুল হককে দলের মনোনয়ন দেয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশা দেখা দেয়। কিন্তু জোটগতভাবে নির্বাচনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এ আসনে ইমদাদুল হকের বদলে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে জোটের প্রার্থী করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পীরগঞ্জ শহরের যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, ‘আমরা এবার আশায় বুক বেঁধেছিলাম, নিজের দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানাব। কিন্তু এবারও হতাশ হলাম।’ একই অনুভুতি ব্যাক্ত করেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের বদরুল ইসলাম সুমন মন্ডলও। দলীয় শিবিরে যেন শোকের অন্ত নেই, হতাশও হয়েছেন অনেকে।
রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ‘আসনটি আবারও শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়ায় আমরা হতাশ। নেতা-কর্মীরা দলের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়ছেন।’ দলের অভ্যন্তরীন এ হতাশা যেন কাটছেইনা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে দেশবাসী মুগ্ধ পীরগঞ্জে মিলন মেলায় এমপি—রমেশ

ঠাকুরগাঁও–৩ আসন ছেড়ে দেয়ায়- আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে শোকের ছায়া, হতাশা

আপডেট টাইম ০১:৩৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আজম রেহমান :: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল এলাকায় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে নেমে এসেছে মারাত্নক শোক ও হতাশা। ১৯৯৬ সালে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবার পর ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি ইমদাদুল হক জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ এর কাছে হেরে যান। এরপরই শুরু হয় জোটবদ্ধ নির্বাচন। জোটের কারনে দল থেকে আরও দুই দফা মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হয় ইমদাদুল হককে। পরপর দু’বার প্রত্যাহারের পর এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইমদাদুল হককে আবারও মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবারো আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে ইমদাদুল হকের। এ সিদ্ধান্তে আবারও দলীয় সংসদ সদস্য না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। জোটের শরিকদের হাতে বারবার আসনটি ছেড়ে দেয়ায় শক্তিশালী আওয়ামীলেগের এখানে অবস্থান নড়বরে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা যেন আর নেতা-কর্মীরা মানতে চাইছেননা। তাদের ধৈয্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।
এ সম্পর্কে রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক বলেন, ‘আসনটি দলকে বঞ্চিত করে আবারও ছেড়ে দেওয়া হলো। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। দলীয় মনোনয়ন নিজেদের মধ্যে দেয়ায় তৃণমূলে যে হতাশা ছিল, তা কেটে গিয়েছিল। কিন্তু এবারও একই ঘটনা ঘটল। এখন দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল।’
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, জননেত্রী যা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। দলের স্বার্থে , দেশের স্বার্থে মেনে নিতে হয়েছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুর্গ বেশ মজবুত। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১৯৯১ সালে মরহুম মোকলেসুর রহমান ও ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহসভাপতি ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের কাছে হেরে যান। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেলেও জোটগত নির্বাচন করার কারণে তাঁকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসনটি ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন ইয়াসিন আলী কিন্তু ইমদাদুল হক ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। দিনে রাতে ভোট করেও এ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমানের কাছে তিনি পরাজিত হন। জাহিদুর রহমানের ছেড়ে দেওয়া আসনে মনোনয়নের আবেদন করেন ইমদাদুল হক। কিন্তু সে সময় আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় ইমদাদুল হক মনোনয়ন বঞ্চিত হন।
এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে ইমদাদুল হক ছাড়াও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহসভাপতি ও পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান, রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক, রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম, রানীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রবিউল ইসলাম দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড ইমদাদুল হককে দলের মনোনয়ন দেয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশা দেখা দেয়। কিন্তু জোটগতভাবে নির্বাচনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এ আসনে ইমদাদুল হকের বদলে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে জোটের প্রার্থী করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পীরগঞ্জ শহরের যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, ‘আমরা এবার আশায় বুক বেঁধেছিলাম, নিজের দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানাব। কিন্তু এবারও হতাশ হলাম।’ একই অনুভুতি ব্যাক্ত করেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের বদরুল ইসলাম সুমন মন্ডলও। দলীয় শিবিরে যেন শোকের অন্ত নেই, হতাশও হয়েছেন অনেকে।
রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ‘আসনটি আবারও শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়ায় আমরা হতাশ। নেতা-কর্মীরা দলের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়ছেন।’ দলের অভ্যন্তরীন এ হতাশা যেন কাটছেইনা।