ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা পবিত্র শবে কদর আজ

আগামীকাল পরীক্ষা তাই আগে ভাগেই বিদ্যালয় ছুটি

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-
শনিবার সময় তখন বিকাল ৩টা হঠাৎ করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ছুটাছুটি করে বাড়ী যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ী যাওয়ার বিষয়টি জানার কৌতুহল জাগে এ প্রতিবেদকের।
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষগুলো তালাবদ্ব কোন শিক্ষক নেই। একটি রুমে কিছু শিক্ষার্থী ও নৈশ্য ও অফিস সহকারী বাবুল মিলে হৈচৈ করছে। বিদ্যালয় এত তারাতাড়ি ছুটি কেন শিক্ষার্থীদের নিকট জানতে চাইলে নৈশ্য প্রহরী বাবুল আগ বাড়িয়ে বলেন,কালকে বার্ষিক পরীক্ষা তাই বিদ্যালয় তারাতারী ছুটি দেওয়া হয়েছেএ তাহলে আপনসিহ শিক্ষার্থীর এখন কি করছেন প্রশ্নে বলেন, কালকের পরীক্ষার রুল নাম্বার বসাতে হবে। তাই কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। একইভাবে আলসিয়া ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মহারাজা সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়সহ একাধিক বিদ্যালয় গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের আশ পাশের ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল(রবিবার) সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ অজুহাতে তারা নিজেরাও তারাতারি বাড়ী ফিরেন,এবং শিক্ষার্থীদেরও তারাতারি ছুটি দেন। অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মদিবস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে শেষ হয় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে পরীক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে মনে করেন সচেতনমহল। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নামে মাত্র বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন। এদের বিরুদ্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষা ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি অজ্ঞাত কারনে ব্যবস্থা নেন না।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন

আগামীকাল পরীক্ষা তাই আগে ভাগেই বিদ্যালয় ছুটি

আপডেট টাইম ০৬:৫৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-
শনিবার সময় তখন বিকাল ৩টা হঠাৎ করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ছুটাছুটি করে বাড়ী যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ী যাওয়ার বিষয়টি জানার কৌতুহল জাগে এ প্রতিবেদকের।
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষগুলো তালাবদ্ব কোন শিক্ষক নেই। একটি রুমে কিছু শিক্ষার্থী ও নৈশ্য ও অফিস সহকারী বাবুল মিলে হৈচৈ করছে। বিদ্যালয় এত তারাতাড়ি ছুটি কেন শিক্ষার্থীদের নিকট জানতে চাইলে নৈশ্য প্রহরী বাবুল আগ বাড়িয়ে বলেন,কালকে বার্ষিক পরীক্ষা তাই বিদ্যালয় তারাতারী ছুটি দেওয়া হয়েছেএ তাহলে আপনসিহ শিক্ষার্থীর এখন কি করছেন প্রশ্নে বলেন, কালকের পরীক্ষার রুল নাম্বার বসাতে হবে। তাই কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। একইভাবে আলসিয়া ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মহারাজা সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়সহ একাধিক বিদ্যালয় গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের আশ পাশের ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল(রবিবার) সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ অজুহাতে তারা নিজেরাও তারাতারি বাড়ী ফিরেন,এবং শিক্ষার্থীদেরও তারাতারি ছুটি দেন। অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মদিবস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে শেষ হয় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে পরীক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে মনে করেন সচেতনমহল। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নামে মাত্র বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন। এদের বিরুদ্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষা ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি অজ্ঞাত কারনে ব্যবস্থা নেন না।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।