ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন

আগামীকাল পরীক্ষা তাই আগে ভাগেই বিদ্যালয় ছুটি

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-
শনিবার সময় তখন বিকাল ৩টা হঠাৎ করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ছুটাছুটি করে বাড়ী যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ী যাওয়ার বিষয়টি জানার কৌতুহল জাগে এ প্রতিবেদকের।
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষগুলো তালাবদ্ব কোন শিক্ষক নেই। একটি রুমে কিছু শিক্ষার্থী ও নৈশ্য ও অফিস সহকারী বাবুল মিলে হৈচৈ করছে। বিদ্যালয় এত তারাতাড়ি ছুটি কেন শিক্ষার্থীদের নিকট জানতে চাইলে নৈশ্য প্রহরী বাবুল আগ বাড়িয়ে বলেন,কালকে বার্ষিক পরীক্ষা তাই বিদ্যালয় তারাতারী ছুটি দেওয়া হয়েছেএ তাহলে আপনসিহ শিক্ষার্থীর এখন কি করছেন প্রশ্নে বলেন, কালকের পরীক্ষার রুল নাম্বার বসাতে হবে। তাই কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। একইভাবে আলসিয়া ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মহারাজা সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়সহ একাধিক বিদ্যালয় গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের আশ পাশের ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল(রবিবার) সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ অজুহাতে তারা নিজেরাও তারাতারি বাড়ী ফিরেন,এবং শিক্ষার্থীদেরও তারাতারি ছুটি দেন। অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মদিবস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে শেষ হয় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে পরীক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে মনে করেন সচেতনমহল। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নামে মাত্র বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন। এদের বিরুদ্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষা ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি অজ্ঞাত কারনে ব্যবস্থা নেন না।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

আগামীকাল পরীক্ষা তাই আগে ভাগেই বিদ্যালয় ছুটি

আপডেট টাইম ০৬:৫৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-
শনিবার সময় তখন বিকাল ৩টা হঠাৎ করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ছুটাছুটি করে বাড়ী যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ী যাওয়ার বিষয়টি জানার কৌতুহল জাগে এ প্রতিবেদকের।
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার বলঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষগুলো তালাবদ্ব কোন শিক্ষক নেই। একটি রুমে কিছু শিক্ষার্থী ও নৈশ্য ও অফিস সহকারী বাবুল মিলে হৈচৈ করছে। বিদ্যালয় এত তারাতাড়ি ছুটি কেন শিক্ষার্থীদের নিকট জানতে চাইলে নৈশ্য প্রহরী বাবুল আগ বাড়িয়ে বলেন,কালকে বার্ষিক পরীক্ষা তাই বিদ্যালয় তারাতারী ছুটি দেওয়া হয়েছেএ তাহলে আপনসিহ শিক্ষার্থীর এখন কি করছেন প্রশ্নে বলেন, কালকের পরীক্ষার রুল নাম্বার বসাতে হবে। তাই কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। একইভাবে আলসিয়া ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভকরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মহারাজা সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়সহ একাধিক বিদ্যালয় গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের আশ পাশের ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল(রবিবার) সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ অজুহাতে তারা নিজেরাও তারাতারি বাড়ী ফিরেন,এবং শিক্ষার্থীদেরও তারাতারি ছুটি দেন। অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মদিবস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে শেষ হয় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে পরীক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে মনে করেন সচেতনমহল। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নামে মাত্র বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন। এদের বিরুদ্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষা ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি অজ্ঞাত কারনে ব্যবস্থা নেন না।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।