ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ

আজম রেহমান::অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে বহুল আলোচিত এ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১১ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিধির প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। সেটি এখন বিজি প্রেসে ছাপা হচ্ছে। একইসঙ্গে গেজেটের কপিও হাতে পাওয়া যাবে।’

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচারকদের শৃংখলাবিধি নিয়ে যেসব আপত্তি দিয়েছিলেন- তা বাদ দেয়া হয়েছে কি না।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়েছেন। এ কারণে বিধিমালা প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল রবিবার বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণসংক্রান্ত বিধিমালা না করায় গত একবছর ধরে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন চলে আসছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ২৫ দফা সময় নিয়েছে।

গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিধিমালা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শৃঙ্খলা বিধিটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে (বৃহস্পতিবার) চলে গেছে বলে আমি জানি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এ গেজেট প্রকাশ হবে।’

গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ

আপডেট টাইম ০৫:২২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

আজম রেহমান::অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে বহুল আলোচিত এ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১১ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিধির প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। সেটি এখন বিজি প্রেসে ছাপা হচ্ছে। একইসঙ্গে গেজেটের কপিও হাতে পাওয়া যাবে।’

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচারকদের শৃংখলাবিধি নিয়ে যেসব আপত্তি দিয়েছিলেন- তা বাদ দেয়া হয়েছে কি না।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়েছেন। এ কারণে বিধিমালা প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল রবিবার বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণসংক্রান্ত বিধিমালা না করায় গত একবছর ধরে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন চলে আসছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ২৫ দফা সময় নিয়েছে।

গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিধিমালা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শৃঙ্খলা বিধিটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে (বৃহস্পতিবার) চলে গেছে বলে আমি জানি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এ গেজেট প্রকাশ হবে।’

গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।