ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

রানীশংকৈলে রাজস্বের অর্থ দিয়ে বৈশাখ পালন করলো উপজেলা পরিষদ ** সবাই নতুন পাঞ্জাবী পড়িহা মোক একখান দিলেনি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
কেনে হামা গরীব দেখে কিনবা পারমো নি কিন্তু এটে কার স্যারলা দেখছু সবাই একেই রংয়ের পাঞ্জাবী পড়িয়ে মুই এক স্যারওক যাহেনে কহনো মোক একখান পাঞ্জাবী কিনি দিবেন স্যার মোক ধমক দেহেনে অসতে সরা দিয়ে এ কথাগুলো বৈশাখ উদযাপন মাঠে এ প্রতিবেদকের কাছে কাদতে কাদতে বলছিলেন ষাট বছরের বয়স্ক উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নে আব্দুস সালাম। এমন অনেক বয়স্ক বৃদ্বরা ইচ্ছা থাকা সত্বেও অর্থের অভাবে নতুন পাঞ্জাবী পড়ার আকাংখা পুরন করতে পারে নি।
অথচ যে রাজস্বের অর্থ দিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করার কথা সে রাজস্বের অর্থ দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নববর্ষের পাঞ্জাবি ও শাড়ী ক্রয় করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে আলাদা ডিজাইনের ও মুল্যের পাঞ্জাবী ও শাড়ী কিনে ব্যাপক ভাবে পালন করা হয়েছে বৈশাখ। এ নিয়ে উপজেলার সুধি মহলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শনিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ পালনে র‌্যালী শেষে বন্দর ডিগ্রী কলেজ মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনূষ্ঠান করা হয়। সে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা একই ডিজাইনের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা পদবী অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন পাঞ্জাবি ও নারীরা নতুন শাড়ি পরে উপস্থিত হয়।
উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ডিগ্রী কলেজ মাঠে তাদের পোষাকের ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন সাংবাদিক ভাই নববর্ষের পাঞ্জাবি শুধু ওসি স্যার পেয়েছে আমাদের দেওয়া হয়নি আমরা কি প্রশাসনের কাজ করিনা ।
পরিষদের অর্থায়নে পোষাক ক্রয়করা প্রসঙ্গে আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকি সহ একাধিক নেতা বলেন, সরকারি অর্থদিয়ে হবে এলাকার উন্নয়ন মূলক (উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভাতা) কাজ। কিন্তু এ উপজেলায় হয়েছে এ উল্টোটা নববর্ষের পোষাক পেয়েছে শুধু প্রভাবশালীরা। রাজস্বের টাকা দিয়ে নববর্ষের পোষাক ক্রয় করতে পারবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিদা বলেন এ বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে বলেন কারণ তিনিই ক্রয় কমিটির সভাপতি। এ দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাষ্ঠারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নববর্ষের পাঞ্জাবি ও শাড়ী ক্রয় করা হয়েছে তা সরকারি ১৭টি দপ্তর ও আ’লীগ সভাপতি-সম্পাদককে দেওয়া হয়েছে এর বাইরে কাউকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এসিল্যান্ড সাহেব এর সমস্ত হিসাব দিতে পারবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

রানীশংকৈলে রাজস্বের অর্থ দিয়ে বৈশাখ পালন করলো উপজেলা পরিষদ ** সবাই নতুন পাঞ্জাবী পড়িহা মোক একখান দিলেনি

আপডেট টাইম ০১:৫১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
কেনে হামা গরীব দেখে কিনবা পারমো নি কিন্তু এটে কার স্যারলা দেখছু সবাই একেই রংয়ের পাঞ্জাবী পড়িয়ে মুই এক স্যারওক যাহেনে কহনো মোক একখান পাঞ্জাবী কিনি দিবেন স্যার মোক ধমক দেহেনে অসতে সরা দিয়ে এ কথাগুলো বৈশাখ উদযাপন মাঠে এ প্রতিবেদকের কাছে কাদতে কাদতে বলছিলেন ষাট বছরের বয়স্ক উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নে আব্দুস সালাম। এমন অনেক বয়স্ক বৃদ্বরা ইচ্ছা থাকা সত্বেও অর্থের অভাবে নতুন পাঞ্জাবী পড়ার আকাংখা পুরন করতে পারে নি।
অথচ যে রাজস্বের অর্থ দিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করার কথা সে রাজস্বের অর্থ দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নববর্ষের পাঞ্জাবি ও শাড়ী ক্রয় করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে আলাদা ডিজাইনের ও মুল্যের পাঞ্জাবী ও শাড়ী কিনে ব্যাপক ভাবে পালন করা হয়েছে বৈশাখ। এ নিয়ে উপজেলার সুধি মহলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শনিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ পালনে র‌্যালী শেষে বন্দর ডিগ্রী কলেজ মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনূষ্ঠান করা হয়। সে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা একই ডিজাইনের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা পদবী অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন পাঞ্জাবি ও নারীরা নতুন শাড়ি পরে উপস্থিত হয়।
উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ডিগ্রী কলেজ মাঠে তাদের পোষাকের ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন সাংবাদিক ভাই নববর্ষের পাঞ্জাবি শুধু ওসি স্যার পেয়েছে আমাদের দেওয়া হয়নি আমরা কি প্রশাসনের কাজ করিনা ।
পরিষদের অর্থায়নে পোষাক ক্রয়করা প্রসঙ্গে আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকি সহ একাধিক নেতা বলেন, সরকারি অর্থদিয়ে হবে এলাকার উন্নয়ন মূলক (উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভাতা) কাজ। কিন্তু এ উপজেলায় হয়েছে এ উল্টোটা নববর্ষের পোষাক পেয়েছে শুধু প্রভাবশালীরা। রাজস্বের টাকা দিয়ে নববর্ষের পোষাক ক্রয় করতে পারবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিদা বলেন এ বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে বলেন কারণ তিনিই ক্রয় কমিটির সভাপতি। এ দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাষ্ঠারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নববর্ষের পাঞ্জাবি ও শাড়ী ক্রয় করা হয়েছে তা সরকারি ১৭টি দপ্তর ও আ’লীগ সভাপতি-সম্পাদককে দেওয়া হয়েছে এর বাইরে কাউকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এসিল্যান্ড সাহেব এর সমস্ত হিসাব দিতে পারবে।