আজম রেহমান:: শীতার্ত বস্ত্রহীন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধার আগে শহরে ঘুরে ঘুরে এসব শীতার্তদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
শহরের শীতার্ত বৃদ্ধা সুফিয়া বেওয়া’র(৭০) গায়ে আকষ্মিকভাবে কম্বল জড়িয়ে চমক দেখান পুলিশ সুপার। হঠাৎ শীত নিবারনের জন্য কম্বল পেয়ে বয়স্ক বৃদ্ধার মুখে খুশির ঝিলিক। আর এমন উচ্চ পদস্থ একজন মানুষ রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কম্বল বিতরণ করছে দেখে সাধারণ মানুষ অবাক।
কম্বল পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে ওই বৃদ্ধা জানান, একটা কম্বলের তানে কতদিন মেম্বার, চেয়ারম্যানে কাছত (কাছে) ঘুরিছু (ঘুরেছি) কেউ দেইনি। আজই হঠা এই স্যার কম্বল আনে দিল। মুই (আমি) কোন দিন ভাবিবা (ভাবতে) পারু (পারি) নাই কেহ এভাবে কম্বল দিয়ে যাবে। আল্লাহ যেন স্যারক (স্যারকে) অনেকদিন বাঁচে রাখে। তাহলে হামার (আমার) মত অনেক গরীব লোক বাঁচিবে (বাঁচবে)।
পথচারি আরিফুল হক হক জানান, আগে জানতাম পুলিশের কাছে মানুষ হয়রানির শিকার হয় সবচেয়ে বেশি। আজ নিজ চোখে একজন এসপির মানবিকতা দেখে সেই ধারনাটা পাল্টে গেছে। সাদা পোশাকে ঠাকুরগাঁওয়ের এসপির ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণটা মানবিকতার একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।
হঠাৎ এভাবে অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে কম্বল দেওয়ার বিষয়টি এসপি ফারহাত আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘরে বসে অসহায় দুস্থ মানুষ কে তা চেনা যায় না। রাস্তার পাশে যারা অসহায় ভাবে পড়ে থাকেন তারাই দুস্থ মানুষ। লোক দেখিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করে সুনাম নিতে চাই না। তাই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অসহায় শীর্তাত মানুষের পাশে গিয়ে কম্বল দেওয়ার চেষ্টা করছি। কারন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় দুস্থ মানুষের দাড়ে দাড়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিতেন। সেই আদর্শকে লালন করে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই এই জীবনে। আমরা সমাজের সকলে যদি অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াই তাহলে দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না।
ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি ফারহাত আহমেদ শহরের বিভিন্ন এলাকয় ঘুরে রাস্তায় পড়ে থাকা প্রায় শতাধিক শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন। ইতোমধ্যে মানবিকতার বিভিন্ন কাজ করে সাধারন মানুষের মন জয় করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি। তিনি জেলাকে মাদকমুক্ত করতে ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।