ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল বেঁধে মাদক সেবন আর কলগার্ল নিয়ে ফূর্তিই ছিল রনি নেশা

সারাদিন ডেস্ক:: : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকায় প্রাইভেটকারে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুল হক রনির (৩২) নেশাই ছিল দল বেঁধে মাদক সেবন আর কল গার্ল নিয়ে ফূর্তি করা।

গ্রেপ্তারের পর সোমবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব। পরবর্তীতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মমর্তা ও শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনজাজ উদ্দিন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া বেপারিবাড়ি এলাকার প্রয়াত আইনজীবী বজলুল হকের ছেলে রনি ধানমণ্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডে বড় হয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন ধানমণ্ডির গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে।

অপরদিকে সে বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করলেও রনি জিমের ব্যবসা করেন। এছাড়াও সে ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের রাজনীতিতেও তিনি জড়িত।

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ীতে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। রনি প্রায় রাতেই তিনি লংড্রাইভে বের হয়ে গাড়িতে বসেই মাদক সেবন করতেন। এছাড়া হাজারীবাগে নিজের বাণিজ্যিক শরীর চর্চা কেন্দ্রে (জিম) বন্ধুদের নিয়ে রনি দল বেঁধে মাদক সেবন করতেন। সেখানে বিভিন্ন পার্টিতে কলগার্ল এনে তারা ফূর্তি করতেন।’

এদিকে থানা পুলিশের দাবি, রনি শুধু ধর্ষণের সাথেই জড়িত নয়। সে ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এছাড়াও রাতে আধারে বিভিন্ন ধরণের ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও গাড়ীতে করে অপহরণের পর ধর্ষণের সাথেও সে জড়িত। আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, এসব অপরাধের সাথে রনি ও তার বন্ধুরা জড়িত। তাই রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার বন্ধুদের মধ্যে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, ‘প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার ভাল পরিচয়। সে নিজেও ধানমন্ডি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাথে জড়িত। তাকে ধানমন্ডির প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই তাকে দেখা যেত। তাছাড়াও রনির বন্ধুরা সবাই প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। ফলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও কখনও এ নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের কলেজগেট সিগন্যালে গাড়ীর ভেতরেই এক তরুণীকে ধর্ষণ করছিল রনি। পরবর্তীতে সিগন্যালে থাকা লোকজন মেয়েটির ধস্তাধস্তি দেখতে পেয়ে গাড়ীটিকে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায় সিগন্যাল না মেনেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে রাস্তায় একদিকে যানজট ও অন্যদিকে সিগন্যাল থাকায় বেশী দূর যেতে পারে ন সে। একে একে করে একই দিক গামী মোটরলসাইকেল চালকরা পরস্পর পরস্পরকে অবগত করে। তাদের সবার সহযোগীতায় গাড়ী থেকে উলগ্ন অবস্থায় রনিকে বের করা হয়। অপরপদিকে একজন এসব দৃশ্য মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেন। পরে ফেসবুকে শেয়ার করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে রনিকে পাওড়ায় কালে প্রথমে সে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে। নিজের ক্ষমতা জোরে সবার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এরপর গাড়ির ভেতর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে বের করেন জনতা। এ সময় চালক ফারুককে বের করে তারা মারধরও করেন। কিন্তু গাড়ি থেকে মদ্যপ রনি জনতার সঙ্গে চোটপাট শুরু করেন। প্রথমে তিনি হম্বিতম্বি করেন ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিতে থাকেন।

তবে ভুক্তভোগী তরুণী গাড়িতে ধর্ষিত হওয়ার কথা জানালে জনতা রনিকে রেহাই দেয়নি। তাকে বেধড়ক মারধরের পর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরবর্তীতে রোববার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রনি ও তার গাড়ী চালক ফারুককে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বান্ধবী ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে ভুক্তভোগীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।

এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করা রাফি আহমেদ জানান, ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছাড়ার কারণে রনির বন্ধু ও স্বজনরা নানান ধরণের হুমকি দিয়েছেন তাকে। অবশেষে হুমকির মুখে বাধ্য হয়েই তাকে ফেসবুক থেকে ভিডিও সহ পোস্টটি ডিলেট করতে হয়েছে।

তাছাড়াও রোববার সকাল থেকেই রনির ঘনিষ্টজনরা থানায় ভিড় করতে থাকে। তারাও রনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু রনিকে আটক করে মারধরের ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে তা আর সম্ভব হয়নি বলেও জানায় থানা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

সূত্রটি জানায়, ঘটনা প্রকাশের পর রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হচ্ছে বুঝতে পেরে তাকে মদ্যপ হিসেবে আটক দেখানোর চেষ্টা করেন তার লোকজন।

এরমধ্যে রোববার বিকালে ধর্ষণের শিকার শ্যামলী এলাকার গৃহবধূ ও গাড়িতে লিফট নিয়ে শিশুমেলায় নেমে যাওয়া আরেক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রাতে তারা শেরেবাংলা নগর থানায় উপস্থিত হন। এরপর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ রনিকে প্রধান আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এতে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য চালক ফারুককেও আসামি করা হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

দল বেঁধে মাদক সেবন আর কলগার্ল নিয়ে ফূর্তিই ছিল রনি নেশা

আপডেট টাইম ০৯:১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক:: : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকায় প্রাইভেটকারে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুল হক রনির (৩২) নেশাই ছিল দল বেঁধে মাদক সেবন আর কল গার্ল নিয়ে ফূর্তি করা।

গ্রেপ্তারের পর সোমবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব। পরবর্তীতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মমর্তা ও শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনজাজ উদ্দিন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া বেপারিবাড়ি এলাকার প্রয়াত আইনজীবী বজলুল হকের ছেলে রনি ধানমণ্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডে বড় হয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন ধানমণ্ডির গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে।

অপরদিকে সে বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করলেও রনি জিমের ব্যবসা করেন। এছাড়াও সে ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের রাজনীতিতেও তিনি জড়িত।

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ীতে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। রনি প্রায় রাতেই তিনি লংড্রাইভে বের হয়ে গাড়িতে বসেই মাদক সেবন করতেন। এছাড়া হাজারীবাগে নিজের বাণিজ্যিক শরীর চর্চা কেন্দ্রে (জিম) বন্ধুদের নিয়ে রনি দল বেঁধে মাদক সেবন করতেন। সেখানে বিভিন্ন পার্টিতে কলগার্ল এনে তারা ফূর্তি করতেন।’

এদিকে থানা পুলিশের দাবি, রনি শুধু ধর্ষণের সাথেই জড়িত নয়। সে ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এছাড়াও রাতে আধারে বিভিন্ন ধরণের ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও গাড়ীতে করে অপহরণের পর ধর্ষণের সাথেও সে জড়িত। আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, এসব অপরাধের সাথে রনি ও তার বন্ধুরা জড়িত। তাই রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার বন্ধুদের মধ্যে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, ‘প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার ভাল পরিচয়। সে নিজেও ধানমন্ডি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাথে জড়িত। তাকে ধানমন্ডির প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই তাকে দেখা যেত। তাছাড়াও রনির বন্ধুরা সবাই প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। ফলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও কখনও এ নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের কলেজগেট সিগন্যালে গাড়ীর ভেতরেই এক তরুণীকে ধর্ষণ করছিল রনি। পরবর্তীতে সিগন্যালে থাকা লোকজন মেয়েটির ধস্তাধস্তি দেখতে পেয়ে গাড়ীটিকে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায় সিগন্যাল না মেনেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে রাস্তায় একদিকে যানজট ও অন্যদিকে সিগন্যাল থাকায় বেশী দূর যেতে পারে ন সে। একে একে করে একই দিক গামী মোটরলসাইকেল চালকরা পরস্পর পরস্পরকে অবগত করে। তাদের সবার সহযোগীতায় গাড়ী থেকে উলগ্ন অবস্থায় রনিকে বের করা হয়। অপরপদিকে একজন এসব দৃশ্য মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেন। পরে ফেসবুকে শেয়ার করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে রনিকে পাওড়ায় কালে প্রথমে সে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে। নিজের ক্ষমতা জোরে সবার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এরপর গাড়ির ভেতর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে বের করেন জনতা। এ সময় চালক ফারুককে বের করে তারা মারধরও করেন। কিন্তু গাড়ি থেকে মদ্যপ রনি জনতার সঙ্গে চোটপাট শুরু করেন। প্রথমে তিনি হম্বিতম্বি করেন ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিতে থাকেন।

তবে ভুক্তভোগী তরুণী গাড়িতে ধর্ষিত হওয়ার কথা জানালে জনতা রনিকে রেহাই দেয়নি। তাকে বেধড়ক মারধরের পর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরবর্তীতে রোববার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রনি ও তার গাড়ী চালক ফারুককে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বান্ধবী ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে ভুক্তভোগীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।

এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করা রাফি আহমেদ জানান, ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছাড়ার কারণে রনির বন্ধু ও স্বজনরা নানান ধরণের হুমকি দিয়েছেন তাকে। অবশেষে হুমকির মুখে বাধ্য হয়েই তাকে ফেসবুক থেকে ভিডিও সহ পোস্টটি ডিলেট করতে হয়েছে।

তাছাড়াও রোববার সকাল থেকেই রনির ঘনিষ্টজনরা থানায় ভিড় করতে থাকে। তারাও রনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু রনিকে আটক করে মারধরের ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে তা আর সম্ভব হয়নি বলেও জানায় থানা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

সূত্রটি জানায়, ঘটনা প্রকাশের পর রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হচ্ছে বুঝতে পেরে তাকে মদ্যপ হিসেবে আটক দেখানোর চেষ্টা করেন তার লোকজন।

এরমধ্যে রোববার বিকালে ধর্ষণের শিকার শ্যামলী এলাকার গৃহবধূ ও গাড়িতে লিফট নিয়ে শিশুমেলায় নেমে যাওয়া আরেক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রাতে তারা শেরেবাংলা নগর থানায় উপস্থিত হন। এরপর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ রনিকে প্রধান আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এতে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য চালক ফারুককেও আসামি করা হয়।