ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়গুনকে মনে পড়ে?

ও বাড়ির জয়গুনকে মনে পড়ে? জীবনযুদ্ধে লড়াকু নারী জয়গুন। ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’র জয়গুন! চলচ্চিত্র ক্যামেরা বন্ধ হলে যাঁকে সবাই ডলি নামে ডাকতেন। ডলির আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকী। সিনেমার কতিপয় মানুষ আজ তাঁকে স্মরণ করবেন, একত্রে বসে তাঁর কাজ নিয়ে কথা বলবেন আর দেখবেন তাঁর অভিনয় করা সিনেমা।

ডলি আনোয়ারের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ দিয়ে। সেটার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী নির্মিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’-তে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নারী অভিনয়শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

ডলি আনোয়ারের যাত্রা নাতিদীর্ঘ। তাঁর দ্বিতীয় ও শেষ অভিনীত ছবি ‘দহন’। ১৯৮৬ সালে শেখ নিয়ামত আলী নির্মিত ‘দহন’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। আবার দীর্ঘ জীবনও বাঁচা হয়নি তাঁর। ১৯৯১ সালের ৩ জুলাই মাত্র ৪৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জন্মেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই।

ডলির আরও পরিচয় আছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত নারীনেত্রী ও লেখক ড. নীলিমা ইব্রাহিম এবং প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বারডেমের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মেয়ে তিনি। বাংলাদেশের কিংবদন্তি আলোকচিত্রী এবং প্রখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী তিনি।

ডলি আনোয়ারের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ এবং তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি। আয়োজন সহযোগী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সম্মেলনকক্ষে ডলি আনোয়ারের স্মরণ আয়োজনে কথা বলবেন চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, প্রয়াত চলচ্চিত্রকার শেখ নিয়ামত আলীর সহধর্মিণী রাশিদা নিয়ামত, চলচ্চিত্র সংসদ ব্যক্তিত্ব হাশেম সূফী, শিল্পসমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ এবং ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।

ডলি আনোয়ারের জীবনস্মৃতি ও কর্ম নিয়ে আলোচনার পর দেখানো হবে ‘দহন’। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম টেলিভিশন ড্রামা ‘একতলা দোতলা’য় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ডলি আনোয়ারের অভিনয়জীবন শুরু হয়। ঢাকার মঞ্চনাটকের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন ১৩ বছর বয়স থেকে। গত শতাব্দীর আশির দশকে ‘সাতদিন’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়গুনকে মনে পড়ে?

আপডেট টাইম ০২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুলাই ২০১৮

ও বাড়ির জয়গুনকে মনে পড়ে? জীবনযুদ্ধে লড়াকু নারী জয়গুন। ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’র জয়গুন! চলচ্চিত্র ক্যামেরা বন্ধ হলে যাঁকে সবাই ডলি নামে ডাকতেন। ডলির আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকী। সিনেমার কতিপয় মানুষ আজ তাঁকে স্মরণ করবেন, একত্রে বসে তাঁর কাজ নিয়ে কথা বলবেন আর দেখবেন তাঁর অভিনয় করা সিনেমা।

ডলি আনোয়ারের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ দিয়ে। সেটার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী নির্মিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’-তে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নারী অভিনয়শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

ডলি আনোয়ারের যাত্রা নাতিদীর্ঘ। তাঁর দ্বিতীয় ও শেষ অভিনীত ছবি ‘দহন’। ১৯৮৬ সালে শেখ নিয়ামত আলী নির্মিত ‘দহন’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। আবার দীর্ঘ জীবনও বাঁচা হয়নি তাঁর। ১৯৯১ সালের ৩ জুলাই মাত্র ৪৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জন্মেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই।

ডলির আরও পরিচয় আছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত নারীনেত্রী ও লেখক ড. নীলিমা ইব্রাহিম এবং প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বারডেমের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মেয়ে তিনি। বাংলাদেশের কিংবদন্তি আলোকচিত্রী এবং প্রখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী তিনি।

ডলি আনোয়ারের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ এবং তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি। আয়োজন সহযোগী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সম্মেলনকক্ষে ডলি আনোয়ারের স্মরণ আয়োজনে কথা বলবেন চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, প্রয়াত চলচ্চিত্রকার শেখ নিয়ামত আলীর সহধর্মিণী রাশিদা নিয়ামত, চলচ্চিত্র সংসদ ব্যক্তিত্ব হাশেম সূফী, শিল্পসমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ এবং ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।

ডলি আনোয়ারের জীবনস্মৃতি ও কর্ম নিয়ে আলোচনার পর দেখানো হবে ‘দহন’। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম টেলিভিশন ড্রামা ‘একতলা দোতলা’য় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ডলি আনোয়ারের অভিনয়জীবন শুরু হয়। ঢাকার মঞ্চনাটকের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন ১৩ বছর বয়স থেকে। গত শতাব্দীর আশির দশকে ‘সাতদিন’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন তিনি।