ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জের চাপরাগঞ্জ রাস্তার কাজে গোজামিল-প্রকৌশল বিভাগ নীরব

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও)::জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় বিভিন্ন সড়কে নি¤œমানের কাজ চলছে। প্রকল্প বস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশল বিভাগ পার্সেন্টেজ নিয়ে এসব কাজের বৈধতা দিয়ে চলছেন, যেন দেখার ক্উে নেই।
নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করায় প্রকল্প এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কাজের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট বলা হলেও তিনি অনিয়ন দূর্নীতি বন্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেননা। ফলে খেয়াল খুশিমত রাস্তার কাজ করছে ঠিকাদার। এমন ১ টি প্রকল্পের বিষয়ে খোজ নিতে গিয়ে জানা যায়, এলজিইডির পল্লী সড়ক ও কালভাট রক্ষনাবেক্ষন প্রকল্পের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ওজওউচ-২ এর আওতায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চাপরাগঞ্জ বাজারস্থ ৮৭০ মিটার রাস্তা রক্ষনাবেক্ষন কাজ টেন্ডার হয় ২০১৭-১৮ইং অর্থ বছরে। প্রাকল্পিত ব্যায় নির্ধারণ করা হয় ৪৬,৯৯,৫৪৯/- টাকা। গত ২১/১১/২০১৭ইং থেকে ২০/১১/২০১৮ইং তারিখে শেষ করার কথা। কিন্তু ধীর গতিতে কাজ করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদার এএইচএম সাদিকুল ইসলাম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইট ভাটার পুড়িয়ে নষ্ঠ হওয়া ইট, বাকানো দুই-তিন নং ইট ও রেজিংয়ের কাজ সহ খোয়ার কাজ করা হচ্ছে। যেখানে মাটি দেওয়ার নিয়ম নেই সেখানে মাটি ও বালি মিশ্রণ করে কাজ করছে। প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের সাইনবোর্ড টানানো হয়নি। এলাকার সচেতন মহল এ সংবাদদাতাকে দেখে অনিয়মের কথা বলতেই ঠিকাদারের নিয়োজিত লোকজন তেরে উঠে। জানতে চাইলে ঠিকাদারের লোকজন জানায় নানা ভাবে নানান জায়গায় কমিশন দিয়ে কাজ নিতে হয়। স্থানীয় সংরক্ষিত ইউ’পি সদস্যা যুক্তি রানী জানান, কাজ তেমন ভালো হচ্ছে না কর্তৃপক্ষকে বললেও শুনছে না। ৮নং ইউ’পি চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র বলেন, কাজ খারাপ হচ্ছে শুনেছি বিষয়টি আপনারা দেখেন। ঠিকাদারের প্রতিনিধি মোঃ ডলার এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানায় আপনারা কি ইঞ্জিনিয়ার, যে ভাবে কাজ চলছে সে ভাবেই চলবে। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গণি’র নিকট জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানান আমি সন্ধার দিকে কাজের তদারকি করি। উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানায় কাজ যে ভাবে হওয়ার সে ভাবেই হবে, নিয়ম অনিয়ম বুঝি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্’র নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানায়, যেহেতু প্রকৌশলীর অধিনে এসব কাজ তাই তাদের জানাচ্ছি প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিব।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জের চাপরাগঞ্জ রাস্তার কাজে গোজামিল-প্রকৌশল বিভাগ নীরব

আপডেট টাইম ০২:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও)::জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় বিভিন্ন সড়কে নি¤œমানের কাজ চলছে। প্রকল্প বস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশল বিভাগ পার্সেন্টেজ নিয়ে এসব কাজের বৈধতা দিয়ে চলছেন, যেন দেখার ক্উে নেই।
নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করায় প্রকল্প এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কাজের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট বলা হলেও তিনি অনিয়ন দূর্নীতি বন্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেননা। ফলে খেয়াল খুশিমত রাস্তার কাজ করছে ঠিকাদার। এমন ১ টি প্রকল্পের বিষয়ে খোজ নিতে গিয়ে জানা যায়, এলজিইডির পল্লী সড়ক ও কালভাট রক্ষনাবেক্ষন প্রকল্পের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ওজওউচ-২ এর আওতায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চাপরাগঞ্জ বাজারস্থ ৮৭০ মিটার রাস্তা রক্ষনাবেক্ষন কাজ টেন্ডার হয় ২০১৭-১৮ইং অর্থ বছরে। প্রাকল্পিত ব্যায় নির্ধারণ করা হয় ৪৬,৯৯,৫৪৯/- টাকা। গত ২১/১১/২০১৭ইং থেকে ২০/১১/২০১৮ইং তারিখে শেষ করার কথা। কিন্তু ধীর গতিতে কাজ করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদার এএইচএম সাদিকুল ইসলাম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইট ভাটার পুড়িয়ে নষ্ঠ হওয়া ইট, বাকানো দুই-তিন নং ইট ও রেজিংয়ের কাজ সহ খোয়ার কাজ করা হচ্ছে। যেখানে মাটি দেওয়ার নিয়ম নেই সেখানে মাটি ও বালি মিশ্রণ করে কাজ করছে। প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের সাইনবোর্ড টানানো হয়নি। এলাকার সচেতন মহল এ সংবাদদাতাকে দেখে অনিয়মের কথা বলতেই ঠিকাদারের নিয়োজিত লোকজন তেরে উঠে। জানতে চাইলে ঠিকাদারের লোকজন জানায় নানা ভাবে নানান জায়গায় কমিশন দিয়ে কাজ নিতে হয়। স্থানীয় সংরক্ষিত ইউ’পি সদস্যা যুক্তি রানী জানান, কাজ তেমন ভালো হচ্ছে না কর্তৃপক্ষকে বললেও শুনছে না। ৮নং ইউ’পি চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র বলেন, কাজ খারাপ হচ্ছে শুনেছি বিষয়টি আপনারা দেখেন। ঠিকাদারের প্রতিনিধি মোঃ ডলার এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানায় আপনারা কি ইঞ্জিনিয়ার, যে ভাবে কাজ চলছে সে ভাবেই চলবে। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গণি’র নিকট জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানান আমি সন্ধার দিকে কাজের তদারকি করি। উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানায় কাজ যে ভাবে হওয়ার সে ভাবেই হবে, নিয়ম অনিয়ম বুঝি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্’র নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানায়, যেহেতু প্রকৌশলীর অধিনে এসব কাজ তাই তাদের জানাচ্ছি প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিব।