ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

মেদ না কমালে চাকরি যাবে পুলিশের

পুলিশের মেদ নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। এ-ও শোনা যায়, মেদ থাকায় দৌড়াতে পারেন না অনেক পুলিশ সদস্য, পালিয়ে যায় অপরাধী। তাই পুলিশ সদস্যদের মেদ কমাতে বলা হয়েছে। আর তা না করলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর রাও সদস্যদের হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছেন, নিজেদের মেদ কমান, নইলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে। তিনি বলেন, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা গত দেড় বছরে অকালে মারা যাওয়ার পর এ ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলা হচ্ছে, মারা যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জীবনযাপনের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

ভাস্কর রাওয়ের অধীনে ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা সবাই ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে মাঠে নামেন। কিন্তু ব্যায়াম ও ডায়েট না করার কারণে অনেকের মেদ জমে গেছে। তাঁদের সচেতন করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মেদওয়ালাদের চিহ্নিত করে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভাস্কর রাও বলেন, যাঁদের মেদভুঁড়ি হয়ে গেছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাঁদের শরীরে চিনির মাত্রা কেমন। সে অনুযায়ী ব্যায়াম করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা এরপরেও সচেতন হবেন না। তাঁদের প্রতিদিনের ভাতা কেটে রাখা হবে। এরপরও সচেতন না হলে চাকরিচ্যুত করা হবে ওই পুলিশ সদস্যদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপারটি নজরদারির মধ্য রেখেছি।’

ভাস্কর রাও বলেন, ৪০-৫০ বছর বয়সের প্রায় ১৫০ জন পুলিশ সদস্য জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যগত কারণে প্রতিবছর মারা যান। এঁদের অনেকেই হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা অতিরিক্ত পানের এবং ধূমপানের অভ্যাসও ছিল। পুলিশ সদস্যদের এমন মৃত্যুর হার মেনে নেওয়া যায় না। তাই শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মাধ্যমে এটা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।’ তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

মেদ না কমালে চাকরি যাবে পুলিশের

আপডেট টাইম ১০:৩২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮

পুলিশের মেদ নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। এ-ও শোনা যায়, মেদ থাকায় দৌড়াতে পারেন না অনেক পুলিশ সদস্য, পালিয়ে যায় অপরাধী। তাই পুলিশ সদস্যদের মেদ কমাতে বলা হয়েছে। আর তা না করলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর রাও সদস্যদের হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছেন, নিজেদের মেদ কমান, নইলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হবে। তিনি বলেন, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা গত দেড় বছরে অকালে মারা যাওয়ার পর এ ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলা হচ্ছে, মারা যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জীবনযাপনের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

ভাস্কর রাওয়ের অধীনে ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা সবাই ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে মাঠে নামেন। কিন্তু ব্যায়াম ও ডায়েট না করার কারণে অনেকের মেদ জমে গেছে। তাঁদের সচেতন করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মেদওয়ালাদের চিহ্নিত করে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভাস্কর রাও বলেন, যাঁদের মেদভুঁড়ি হয়ে গেছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাঁদের শরীরে চিনির মাত্রা কেমন। সে অনুযায়ী ব্যায়াম করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা এরপরেও সচেতন হবেন না। তাঁদের প্রতিদিনের ভাতা কেটে রাখা হবে। এরপরও সচেতন না হলে চাকরিচ্যুত করা হবে ওই পুলিশ সদস্যদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপারটি নজরদারির মধ্য রেখেছি।’

ভাস্কর রাও বলেন, ৪০-৫০ বছর বয়সের প্রায় ১৫০ জন পুলিশ সদস্য জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যগত কারণে প্রতিবছর মারা যান। এঁদের অনেকেই হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা অতিরিক্ত পানের এবং ধূমপানের অভ্যাসও ছিল। পুলিশ সদস্যদের এমন মৃত্যুর হার মেনে নেওয়া যায় না। তাই শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মাধ্যমে এটা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।’ তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।