ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায় বাস্তবায়ন না হলে অবস্থানে যাবে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন

সারাদিন ডেস্ক:: কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্থায়ী পদে আত্তীকরণের জন্য হাই‌কো‌র্টের রায় ২৫ জুলাই এর মধ্যে বাস্তবায়ন না করা হলে ২৯ জুলাই হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আগারগাঁওস্থ এলজিইডি ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন। বুধবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এছাড়াও ২ সেপ্টেম্বর হতে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলজিইডি সহ অন্যান্য সকল দপ্তরে গণসংযোগ এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানীতে কর্মচারী সমাবেশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বক্তারা। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী বলেন, এলজিইডি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দান করা হয়, এসব প্রকল্প মাস্টাররোলে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদে­র অধিকাংশই ২০ থেকে ২৫ বছর অস্থায়ীভাবে চাকরি করে আসছে। তিনি আরো বলেন, এসব প্রকল্প ও মাস্টার রোলের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের চাকরি রাজস্ব খাত ভুক্তি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না পেয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন, হাইকোর্টে সকল জনবলের চাকরি রাজস্ব ভুক্তি করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ হাজার কর্মচারীর মধ্যে আড়াই হাজার কর্মচারীকে রাজস্ব ভুক্ত করেন। অবশিষ্ট ৩৮২৩ জন কর্মচারীর চাকরি অদ্যাবধি রাজস্ব ভুক্ত করা হয়নি কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেনি। ওয়ারেছ আলী জানান, হাইকোর্টের রা‌য়ে় সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে বিভিন্ন প্রকল্পের অবশিষ্ট ৩৮২৩ জন কর্মচারীর চাকরি হবে রাজস্বভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের চাকরি চলমান রাখতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের রায় কে উপেক্ষা করে কিছু কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অডিটর সহ ১১ জন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়াও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিটি সেক্টরে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিগত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যখাতে, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষাখাত, যোগাযোগ খাত সহ সকল পর্যায়ে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে কিছু কিছু সরকারি দপ্তরে কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও হয়রানি কর্মচারীদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি কর‌ছে। সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব্য পাঠ ক‌রেন, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মো হেদায়েত হোসেন। এ সসয় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান, কার্যকরী সভাপতি আবদুল হাই মোল্লা, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রায় বাস্তবায়ন না হলে অবস্থানে যাবে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন

আপডেট টাইম ০৫:২৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮
সারাদিন ডেস্ক:: কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্থায়ী পদে আত্তীকরণের জন্য হাই‌কো‌র্টের রায় ২৫ জুলাই এর মধ্যে বাস্তবায়ন না করা হলে ২৯ জুলাই হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আগারগাঁওস্থ এলজিইডি ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন। বুধবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এছাড়াও ২ সেপ্টেম্বর হতে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলজিইডি সহ অন্যান্য সকল দপ্তরে গণসংযোগ এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানীতে কর্মচারী সমাবেশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বক্তারা। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী বলেন, এলজিইডি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দান করা হয়, এসব প্রকল্প মাস্টাররোলে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদে­র অধিকাংশই ২০ থেকে ২৫ বছর অস্থায়ীভাবে চাকরি করে আসছে। তিনি আরো বলেন, এসব প্রকল্প ও মাস্টার রোলের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের চাকরি রাজস্ব খাত ভুক্তি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না পেয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন, হাইকোর্টে সকল জনবলের চাকরি রাজস্ব ভুক্তি করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ হাজার কর্মচারীর মধ্যে আড়াই হাজার কর্মচারীকে রাজস্ব ভুক্ত করেন। অবশিষ্ট ৩৮২৩ জন কর্মচারীর চাকরি অদ্যাবধি রাজস্ব ভুক্ত করা হয়নি কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেনি। ওয়ারেছ আলী জানান, হাইকোর্টের রা‌য়ে় সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে বিভিন্ন প্রকল্পের অবশিষ্ট ৩৮২৩ জন কর্মচারীর চাকরি হবে রাজস্বভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের চাকরি চলমান রাখতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের রায় কে উপেক্ষা করে কিছু কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অডিটর সহ ১১ জন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়াও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিটি সেক্টরে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিগত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যখাতে, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষাখাত, যোগাযোগ খাত সহ সকল পর্যায়ে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে কিছু কিছু সরকারি দপ্তরে কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও হয়রানি কর্মচারীদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি কর‌ছে। সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব্য পাঠ ক‌রেন, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মো হেদায়েত হোসেন। এ সসয় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান, কার্যকরী সভাপতি আবদুল হাই মোল্লা, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।