ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার ঘোষণার দাবি

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। বুধবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের তৃতীয় সভায় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ৬৩৬০ টাকা এবং সরকার মনোনীত শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ১২০২০ টাকা নিম্নতম মজুরি প্রস্তাব করেছেন। মজুরি বোর্ড দাখিলকৃত এই মজুরি প্রস্তাবনায় পোশাক শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। মালিকপক্ষের প্রস্তাবনা প্রমাণ করে মজুরি বোর্ড গঠনের জন্য মালিকদের অনুরোধ ছিল প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ, ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ৫৩০০ টাকা ধরে ঘোষিত মজুরি কাঠামোয় প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা ছিল। সেই হিসাবে বিদ্যমান মজুরি ৬৪৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা। মালিকদের প্রস্তাবনা যা বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে শ্রমিকদের মজুরি কমানো এবং উস্কানি দিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করার মাধ্যমে সরকারকে বিভ্রান্ত করে শ্রমিকদের ন্যায্যতা আড়াল করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা আরও বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড দর কষাকষির জন্য গঠিত হয়নি। নিম্নতম মজুরি বোর্ডের দায়িত্ব হলো শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মজুরি নির্ধারণ করা। তাই জীবনযাপন ব্যয়, মান, সরকারি পে-স্কেল, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, কাজের ধরন ঝুঁকি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শ্রম আইনের নির্দেশনা, আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) কনভেনশন অনুসারে মজুরি নির্ধারণের বিবেচ্য বিষয়, প্রতিযোগী দেশে শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবিতে মজুরি বোর্ডে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, পে-স্কেল আর রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন জীবনমান নির্ধারণের নিম্নতম মানদণ্ড। তাই বাংলাদেশে পোশাক শিল্প বিকাশে দক্ষ শ্রম শক্তি নিশ্চিত করতে পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা হওয়া উচিত। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার ঘোষণার দাবি

আপডেট টাইম ০৫:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮
আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। বুধবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের তৃতীয় সভায় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ৬৩৬০ টাকা এবং সরকার মনোনীত শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ১২০২০ টাকা নিম্নতম মজুরি প্রস্তাব করেছেন। মজুরি বোর্ড দাখিলকৃত এই মজুরি প্রস্তাবনায় পোশাক শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। মালিকপক্ষের প্রস্তাবনা প্রমাণ করে মজুরি বোর্ড গঠনের জন্য মালিকদের অনুরোধ ছিল প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ, ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ৫৩০০ টাকা ধরে ঘোষিত মজুরি কাঠামোয় প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা ছিল। সেই হিসাবে বিদ্যমান মজুরি ৬৪৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা। মালিকদের প্রস্তাবনা যা বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে শ্রমিকদের মজুরি কমানো এবং উস্কানি দিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করার মাধ্যমে সরকারকে বিভ্রান্ত করে শ্রমিকদের ন্যায্যতা আড়াল করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা আরও বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড দর কষাকষির জন্য গঠিত হয়নি। নিম্নতম মজুরি বোর্ডের দায়িত্ব হলো শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মজুরি নির্ধারণ করা। তাই জীবনযাপন ব্যয়, মান, সরকারি পে-স্কেল, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, কাজের ধরন ঝুঁকি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শ্রম আইনের নির্দেশনা, আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) কনভেনশন অনুসারে মজুরি নির্ধারণের বিবেচ্য বিষয়, প্রতিযোগী দেশে শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবিতে মজুরি বোর্ডে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, পে-স্কেল আর রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন জীবনমান নির্ধারণের নিম্নতম মানদণ্ড। তাই বাংলাদেশে পোশাক শিল্প বিকাশে দক্ষ শ্রম শক্তি নিশ্চিত করতে পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা হওয়া উচিত। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।