আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::মন্ত্রীর আশ্বাসে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদ্স্য তপন কুমার মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের বলেছেন তিনি আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বিবেচনা করবেন।’
শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।’
সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শরবত খেয়ে অনশন ভাঙেন।এর আগে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে যান শিক্ষক প্রতিনিধির ১২ জন সদস্য।
গত শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে আমরণ অনশন শুরু হয়। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠন অংশ নিয়েছে। সংগঠনের নেতারা স্লোগানের সুরে জানান, ‘দাবি মোদের একটাই প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে বেতন চাই।’ আর এ দাবি পূরণ না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে সংহতি জানাচ্ছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন নেতারা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে তিন ধাপ নিচের স্কেলে বেতন পান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১ তম গ্রেডে বেতন পান। যার মূল বেতন শুরু ১২,৫০০ টাকায়। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে। যার মূল বেতন শুরু ১০,২০০ টাকায়।