ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানীশংকৈলে পাউবোর জায়গায় অবৈধ হাট -অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ-
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) আবাসিক এলাকার জায়গায় অবৈধভাবে হাট বসানো হয়েছে। হাটের ইজারাদার আবার পাউবোর নাম করে অতিরিক্ত টোল আদায় করলেও পাউবো কোন টাকা পাননা বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা ভুমি অফিসের তথ্য মতে যদিও সরকারীভাবে নেকমরদ হাটের নামে থাকা ছয় একর পচাঁনব্বই শতক জমি বে-দখল হয়ে পাকা আধা পাকা দালান দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জমি উদ্বারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এবং কি এ ধরনের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সরকারকে কোন ধরনের জায়গা ভাড়া বা খাজনা প্রদান করে না। হাটের জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার র্দীঘদিনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে হাট ইজারাদার মুক্তার আলীর অভিযোগ আমি প্রায় এক কোটি তেতত্রিশ লাখ টাকায় বাংলা ১৪২৫ সালে এক বছর মেয়াদে হাট ডেকে নিলেও উপজেলা প্রশাসন আমাকে হাট বসানোর জায়গা দেন নি। আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহার মৌখিক নির্দেশে পাউবোর জায়গায় শুধুমাত্র গরু ছাগল সাইকেল হাট বসিয়েছি। এছাড়া ধানের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় আর হাঁস মুরগী মানুষের জায়গা ভাড়া নিয়ে হাট পরিচালনা করছি। এছাড়াও পাউবোর একজন জনৈক কর্মকর্তা আমি হাট নেওয়ার পর পরই বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। তাছাড়া শাসকদলের লোকজনকে মাঝে মাঝে চাদা দেওয়া স্থানীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্টের জন্য প্রতি হাটে চাদা প্রদান করাসহ নানান কারনে চাদা প্রদান করতে হয়।
ঠাকুরগাঁও পাউবো সুত্রে জানা গেছে,১৯৭০ সালের দিকে পাউবোর কাজ পরিচালনার সুবিধার্থে দুই দফায় নেকমরদ এলাকায় ৩ একর ৩৭ শতক জমি অধিগ্রহণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন ও একটি ডাক বাংলো গড়ে তোলা হয়। সেখানে এখন কিছু লোক বাস করলেও বেশিরভাগ আবাসিক ঘরগুলো পড়ে রয়েছে। এ সুযোগে ২০১২ সালের দিকে ঐ আবাসিক এলাকায় পশু ও সাইকেলের হাট বসানো হয়। হাট বসে প্রতি সপ্তাহের রোববার। বহুবার চেষ্টা করেও স্থানীয় প্রশাসনের পরোক্ষ ইন্ধনের কারণে হাট বসানো বন্ধ করা যায় নি।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নেকমরদ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী-রানীশংকৈল আঞ্চলিক মহাসড়কের দুধারে বিপুল সংখ্যাক নসিমন করিমন গাড়ীগুলো পাকিং করে রাখা হয়েছে। নেকমরদ চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বসানো হয়েছে ক্ষুদ্রে ব্যবসায়ীদের এতে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়ক ঘেঁেষ অবস্থিত পাউবোর জায়গায় হাট বসেছে। হাটে বিপুল সংখ্যাক মানুষের উপস্থিতি লক্ষা করা যায়। ধুম ধাম পশু সাইকেল কেনা বেচা চলছে।
হাটের ইজারাদারের লোকজন গরু বিক্রয় রশিদ নিয়ে পশু হাটে ঘুরাঘুরি করছ্ েএদের মধ্যে একজনকে গরু প্রতি হাট ইজারা কত প্রশ্ন করতেই বলে উঠে ২২০টাকা পাশেই ছাগল হাটি সেখানেও একজন ছাগল ক্রয়ে ইজারা কত প্রশ্নে বলে উঠে ১২০ টাকা একইভাবে সাইকেল হাটিতে আবার ব্যতিক্রম সেখানে ক্রেতা দিবে ২০০ টাকা আর বিক্রেতা দিবে ৬০ টাকা মোট দাড়ালো ২৬০ টাকা একটি সাইকেলের ইজারা অথচ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক অনুমোদিত ইজারা আদায়ের তালিকায় দেখা যায়,প্রতি গরু ১৮০ টাকা ছাগল ৭০ টাকা বাইসাইকেল ১০০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। এসব অনিয়ম প্রতিকারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো ব্যবস্থা নিয়েই অজ্ঞাত কারণে নিরব হয়ে গেছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায় এ হাটে প্রায় একহাজার গরু ছাগল কেনা বেচা হয়ে থাকে। ক্রেতা বিক্রেতাদের অভিযোগ হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায় করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থায় নিচ্ছে না। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষদের।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে রোববার অফিসে গিয়ে না পাওয়া যাওয়ায় গতকাল সোমবার মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদাকে কল দিলে প্রথমে রিং হলেও পরবর্তী সময়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রানীশংকৈলে পাউবোর জায়গায় অবৈধ হাট -অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৩:৩২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অগাস্ট ২০১৮

রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ-
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) আবাসিক এলাকার জায়গায় অবৈধভাবে হাট বসানো হয়েছে। হাটের ইজারাদার আবার পাউবোর নাম করে অতিরিক্ত টোল আদায় করলেও পাউবো কোন টাকা পাননা বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা ভুমি অফিসের তথ্য মতে যদিও সরকারীভাবে নেকমরদ হাটের নামে থাকা ছয় একর পচাঁনব্বই শতক জমি বে-দখল হয়ে পাকা আধা পাকা দালান দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জমি উদ্বারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এবং কি এ ধরনের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সরকারকে কোন ধরনের জায়গা ভাড়া বা খাজনা প্রদান করে না। হাটের জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার র্দীঘদিনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে হাট ইজারাদার মুক্তার আলীর অভিযোগ আমি প্রায় এক কোটি তেতত্রিশ লাখ টাকায় বাংলা ১৪২৫ সালে এক বছর মেয়াদে হাট ডেকে নিলেও উপজেলা প্রশাসন আমাকে হাট বসানোর জায়গা দেন নি। আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহার মৌখিক নির্দেশে পাউবোর জায়গায় শুধুমাত্র গরু ছাগল সাইকেল হাট বসিয়েছি। এছাড়া ধানের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় আর হাঁস মুরগী মানুষের জায়গা ভাড়া নিয়ে হাট পরিচালনা করছি। এছাড়াও পাউবোর একজন জনৈক কর্মকর্তা আমি হাট নেওয়ার পর পরই বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। তাছাড়া শাসকদলের লোকজনকে মাঝে মাঝে চাদা দেওয়া স্থানীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্টের জন্য প্রতি হাটে চাদা প্রদান করাসহ নানান কারনে চাদা প্রদান করতে হয়।
ঠাকুরগাঁও পাউবো সুত্রে জানা গেছে,১৯৭০ সালের দিকে পাউবোর কাজ পরিচালনার সুবিধার্থে দুই দফায় নেকমরদ এলাকায় ৩ একর ৩৭ শতক জমি অধিগ্রহণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন ও একটি ডাক বাংলো গড়ে তোলা হয়। সেখানে এখন কিছু লোক বাস করলেও বেশিরভাগ আবাসিক ঘরগুলো পড়ে রয়েছে। এ সুযোগে ২০১২ সালের দিকে ঐ আবাসিক এলাকায় পশু ও সাইকেলের হাট বসানো হয়। হাট বসে প্রতি সপ্তাহের রোববার। বহুবার চেষ্টা করেও স্থানীয় প্রশাসনের পরোক্ষ ইন্ধনের কারণে হাট বসানো বন্ধ করা যায় নি।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নেকমরদ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী-রানীশংকৈল আঞ্চলিক মহাসড়কের দুধারে বিপুল সংখ্যাক নসিমন করিমন গাড়ীগুলো পাকিং করে রাখা হয়েছে। নেকমরদ চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বসানো হয়েছে ক্ষুদ্রে ব্যবসায়ীদের এতে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়ক ঘেঁেষ অবস্থিত পাউবোর জায়গায় হাট বসেছে। হাটে বিপুল সংখ্যাক মানুষের উপস্থিতি লক্ষা করা যায়। ধুম ধাম পশু সাইকেল কেনা বেচা চলছে।
হাটের ইজারাদারের লোকজন গরু বিক্রয় রশিদ নিয়ে পশু হাটে ঘুরাঘুরি করছ্ েএদের মধ্যে একজনকে গরু প্রতি হাট ইজারা কত প্রশ্ন করতেই বলে উঠে ২২০টাকা পাশেই ছাগল হাটি সেখানেও একজন ছাগল ক্রয়ে ইজারা কত প্রশ্নে বলে উঠে ১২০ টাকা একইভাবে সাইকেল হাটিতে আবার ব্যতিক্রম সেখানে ক্রেতা দিবে ২০০ টাকা আর বিক্রেতা দিবে ৬০ টাকা মোট দাড়ালো ২৬০ টাকা একটি সাইকেলের ইজারা অথচ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক অনুমোদিত ইজারা আদায়ের তালিকায় দেখা যায়,প্রতি গরু ১৮০ টাকা ছাগল ৭০ টাকা বাইসাইকেল ১০০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। এসব অনিয়ম প্রতিকারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো ব্যবস্থা নিয়েই অজ্ঞাত কারণে নিরব হয়ে গেছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায় এ হাটে প্রায় একহাজার গরু ছাগল কেনা বেচা হয়ে থাকে। ক্রেতা বিক্রেতাদের অভিযোগ হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায় করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থায় নিচ্ছে না। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষদের।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে রোববার অফিসে গিয়ে না পাওয়া যাওয়ায় গতকাল সোমবার মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদাকে কল দিলে প্রথমে রিং হলেও পরবর্তী সময়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।