ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকল্প নেই: ঠাকুরগাঁও-২ আসন মানেই এমপি দবিরুল

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ও ধর্মগড় ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসন। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত আসনটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসনে কে হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে নানা গুন্জন চলছে। অন্যদিকে বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও জামায়াত আবারও এ আসনে তাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মো: দবিরুল ইসলাম পরপর ৬ বার এ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। আর জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম দুবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। প্রার্থী নির্বাচনে ভূল হলে আসনটি যাবে বিএনপি’র ঘরে, এটি সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
মো: দবিরুল ইসলাম এমপির বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ ভাল অবস্থান করেছেন। তিনি সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য গাঁথা গৌরবময় কার্যক্রমের প্রচার করছেন বিভিন্ন সভা সমাবেশের মাধ্যমে। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে, হাটে বাজারে মিছিল মিটিং করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন গৌরবময় অর্জনের কথা প্রচার করছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, মাজহারুল ইসলাম সুজন একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক তরুন নেতা। তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রাণপ্রিয় এ নেতা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান দলীয় কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থাভাজন এ নেতা সব সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে শক্তি সাহস যোগান। দলের প্রতিটি কর্মসূচীতে তার সরব উপস্থিতি দলীয় নেতা-কর্মীদের দারুনভাবে অনুপ্রেরনা জোগায়।
বর্তমান এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম বলেন, একটি বিরোধী পক্ষ তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তার দৗর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের ইমেজ নষ্ট করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি এ আসন থেকে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এবং এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি আরোও জানান, মনোনয়ন দিলে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঠাকুরগাঁও-২ আসন উপহার দিবেন।
১৯৮৬ সালে ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ৩৪ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারী ৫ম সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৪৬ হাজার ৪৫২। নিকটতম বিএনপির প্রার্থী আলতাফুর রহমান পান ১৭ হাজার ৭০৭। ১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৪৮ হাজার ৩৪৪। নিকটতম ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু পান ২৮ হাজার ৭৫৭ ভোট। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৬২ হাজার ৪৮৩, নিকটতম জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম পান ৫৭ হাজার ১৯৬ ভোট। ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ৯ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ১ লাখ ২ হাজার ৮৩৩, নিকটতম জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম পান ৯৮ হাজার ৪৫৬ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ষ্ঠ বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়।
হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো: আবু বক্কর সিদ্দিক লিটন জানান,ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ার কারণে আবারো ঠাকুরগাঁও ২ আসনরে জনগণ বপিুল ভোটে বজিয়ী করবনে বলে আমার বশ্বিাস।
হরিপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো: শরিফউদ্দিন সরকার জানান, আবারও যদি আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আলহাজ¦ মো: দবিরুল ইসলাম এর কোন বিকল্প নেই। তিনি হলেন ভোটের যাদুকর, তাকে মনোনয়ন দিলে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সপ্তমবারের মত ঠাকুরগাঁও-২ আসন উপহার দিতে সক্ষম তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বিকল্প নেই: ঠাকুরগাঁও-২ আসন মানেই এমপি দবিরুল

আপডেট টাইম ০৩:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অক্টোবর ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ও ধর্মগড় ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসন। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত আসনটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসনে কে হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে নানা গুন্জন চলছে। অন্যদিকে বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও জামায়াত আবারও এ আসনে তাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মো: দবিরুল ইসলাম পরপর ৬ বার এ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। আর জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম দুবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। প্রার্থী নির্বাচনে ভূল হলে আসনটি যাবে বিএনপি’র ঘরে, এটি সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
মো: দবিরুল ইসলাম এমপির বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ ভাল অবস্থান করেছেন। তিনি সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য গাঁথা গৌরবময় কার্যক্রমের প্রচার করছেন বিভিন্ন সভা সমাবেশের মাধ্যমে। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে, হাটে বাজারে মিছিল মিটিং করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন গৌরবময় অর্জনের কথা প্রচার করছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, মাজহারুল ইসলাম সুজন একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক তরুন নেতা। তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রাণপ্রিয় এ নেতা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান দলীয় কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থাভাজন এ নেতা সব সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে শক্তি সাহস যোগান। দলের প্রতিটি কর্মসূচীতে তার সরব উপস্থিতি দলীয় নেতা-কর্মীদের দারুনভাবে অনুপ্রেরনা জোগায়।
বর্তমান এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম বলেন, একটি বিরোধী পক্ষ তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তার দৗর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের ইমেজ নষ্ট করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি এ আসন থেকে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এবং এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি আরোও জানান, মনোনয়ন দিলে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঠাকুরগাঁও-২ আসন উপহার দিবেন।
১৯৮৬ সালে ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ৩৪ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারী ৫ম সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৪৬ হাজার ৪৫২। নিকটতম বিএনপির প্রার্থী আলতাফুর রহমান পান ১৭ হাজার ৭০৭। ১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৪৮ হাজার ৩৪৪। নিকটতম ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু পান ২৮ হাজার ৭৫৭ ভোট। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৬২ হাজার ৪৮৩, নিকটতম জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম পান ৫৭ হাজার ১৯৬ ভোট। ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ৯ম সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পান ১ লাখ ২ হাজার ৮৩৩, নিকটতম জামায়াত প্রার্থী আ: হাকিম পান ৯৮ হাজার ৪৫৬ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ষ্ঠ বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়।
হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো: আবু বক্কর সিদ্দিক লিটন জানান,ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ার কারণে আবারো ঠাকুরগাঁও ২ আসনরে জনগণ বপিুল ভোটে বজিয়ী করবনে বলে আমার বশ্বিাস।
হরিপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো: শরিফউদ্দিন সরকার জানান, আবারও যদি আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আলহাজ¦ মো: দবিরুল ইসলাম এর কোন বিকল্প নেই। তিনি হলেন ভোটের যাদুকর, তাকে মনোনয়ন দিলে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সপ্তমবারের মত ঠাকুরগাঁও-২ আসন উপহার দিতে সক্ষম তিনি।