সারাদিন ডেস্ক::একদিন সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। সোমবার দুপুরে মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কার্যালয়ে দলের বর্ধিতসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “আজকের দিন আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন। আমি আনন্দের সাথে আজ আমার দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করছি।”
সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, দেশের জনগণকে মুক্ত করার জন্য আমরা তার (কামাল) নেতৃত্বে কাজ করার অঙ্গীকার করছি।” কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এই সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মনটু, বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীও বক্তব্য দেন। গত ১৩ অক্টোবর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়, তখন এই জোটে বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নিয়েও আলোচনা ছিল। গত ৩ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় কামাল হোসেনের কাছে তার ফ্রন্টে যোগদানের জন্য একদিন সময় নিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। ওই আলোচনা সভায় কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সোমবার ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমরা সব শক্তি দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সহায়তা করব। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য যতটা সম্ভব কাজ করব।” তিনি বলেন, “লড়াইয়ে জেতা আমার জন্য কোনো কঠিন কাজ নয়। আইনের সহায়তা করবেন কামাল হোসেন। আর লড়াই করব আমরা, যুদ্ধ করব আমরা। আমাদের হাতে যদি টিক্কা খান হেরে থাকে, ইয়াহিয়া খান হেরে থাকে, নিয়াজী যদি নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ করতে পারে, তাহলে আজকের দিনে যারা স্বৈরাচার সাজছেন তাদেরকেও আম্মসমর্পণ করতে হবে।” গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির মোহাম্মদ শাহজাহান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর, গণফোরামের মোকাব্বির খানও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।