নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে তা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বরার্ট আর্ল মিলার একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) চাই, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হোক। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে যেসব রিপোর্ট দেখছি তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হলো সবার এটা নিশ্চিত করা দরকার যে ভায়োলেন্সকে পরিহার করা এবং নিন্দা জানানো।
মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে নির্বাচনের পদ্ধতি কার্যকর হবে না যদি না সবাই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমানভাবে অংশ করতে না পারে। আমি সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করবো গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমরা আহ্বান জানাই, সবাইকে মুক্তভাবে পুরোদমে নেমে যাওয়ার জন্য, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য। এর মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এসেছেন আজকে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে। নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আপনারা নিজেরা শুনেছেন তারা এখানে ভয়ভীতি ও ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দেখতে চান না, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। এটাই হচ্ছে তাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, তারা মনে করে যে, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া উচিত। কোনো প্রার্থীর ওপর যাতে কোনো আক্রমণ না হয়, ভায়োলেন্স যেন না হয়- এক কথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বিরোধী দল যারা আছেন তাদের প্রচারণাও যাতে নিরাপদে করতে পারে তা নিশ্চিত করা উচিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত। তাকে কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। বেলা ২টায় বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
এদিকে গুলশান অফিস সূত্র জানায়, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ও নির্বাচনে অংশ নেয়া ধানের শীষের প্রার্থীসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।