ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে তিয়ানশিকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ১ জানুয়ারী/২০১৭ইং ঢাকা থেকে প্রকাশিত গণকন্ঠ পত্রিকায় “পীরগঞ্জে এমএলএম কোম্পানীর প্রতারনা চরমে ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় “নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমএলএম কোম্পানী” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পত্রিকা দু’টি একই হাউজ থেকে একই মালিকানাধীনে প্রকাশিত। সংবাদটির শিরোনাম পৃথক হলেও গর্ভস্থ সংবাদের কোথাও আলাদা বক্তব্য নেই। হুবহু একই নিউজ ২টি পত্রিকায় শিরোনাম বদলিয়ে হুবহু ছাপা হয়েছে। যা হোক, পত্রিকার সংবাদদাতা সাংবাদিকতার নীতিমাল লঙ্ঘন করে পৃথিবীর কমপক্ষে ১১০ টি দেশে একযোগে সুনামের সাথে পরিচালিত এবং বাংলাদেশেও একাধিকবার সর্বোচ্চ ট্যাক্স/ভ্যাট দাতা সেরা প্রতিষ্ঠানের সম্মান অর্জনকারী একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানীর সম্পর্কে ঢালাও এবং মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে এই প্রতিষ্ঠানের এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত পরিবেশকদের সুনাম ও ভাবমুর্তি শুধু ক্ষুন্ন করেনি বরং সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ পরিবেশনের আগে প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ শাখার প্রধান কিংবা প্রতিষ্টানের সর্বোচ্চ কতৃপক্ষের মতামত গ্রহন করা অবশ্য করনীয় হওয়া সত্বেও সংবাদদাতা অসৎ উদ্দেশ্যে, অন্যায় লাভের আশায় তার মনগড়া কল্পিত সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদটি সম্পকে পীরগঞ্জ টিমের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহ জনসাধারনের জ্ঞাতার্থে ব্যাখ্যা এই যে, তিয়ানসি কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠান নয়। তিয়ানসি কারো সাথে কখনো কোন প্রতারনা ও প্রলোভন দেখায়নি বা দেখায়না। ২০০৫ থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত ব্যবসার ১ যুগেরও বেশি সময়ে এই প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ কখনোই ওঠেনি। প্রলোভন ও প্রতারনা করে থাকলে প্রতিষ্টানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব হতোনা। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলার ব্যবস্থা রয়েছে। আর কোন ব্যাক্তি আইন লঙ্ঘন করলে সে দায় তার একান্তই নিজের। কোন ব্যাক্তির দায় কোম্পানীর উপর বর্তায়না এবং কোন একক ব্যাক্তির উপর কোম্পানী নির্ভরশীল নয়। তেমন অভিযোগ উঠলে কোম্পানী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। ২০১৪ সালে সারাদেশে এমএলএম কার্যক্রম বাতিল হবার পর উচ্চ আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি ম্যডাম নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে পরিচালিত বেঞ্চ (রিট নং ১০৩৮৩/১৪ তাং ১৮.১১.১৪ইং এর আদেশে) এই কোম্পানী বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ সময় রিট আবেদনকারী তিয়ানশি’র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবি ড.কামাল হোসেন ও এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান। সর্বশেষ গত ২০.১১.১৭ইং উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের একই রিটের সূত্র ধরে ৪৩৮৭৮/১৭ নং সিরিয়ালে নতুন করে আবেদন শুনানী অন্তে কার্যক্রম পরিচালনা ও সময় বৃদ্ধির আদেশে মাননীয় বিচারপতি মি. মো. আশফাকুল ইসলাম ও মি. বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আরো ৬ মাস কোম্পানীর কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রয়েছে। তিয়ানশি’র পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মি. এ.এম হাসান। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন মেনে বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সততার সাথে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ভবিষ্যতেও পরিচালনায় বদ্ধ পরিকর। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন জড়িত তেমনি করে অসংখ্য মানুষের জীবন জীবিকা এবং সুস্থ জীবন যাপনের বিষয় নিবিরভাবে নির্ভরশীল। এছাড়া তিয়ানশি পন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যপুষ্টি বিভাগে পরিক্ষিত, বিসিএসআইআর গবেষনাগার থেকে কেমিকেল পরীক্ষিত এবং বিএসটিআই,ঢাকার অনুমোদন সাপেক্ষে সারাদেশে সরবরাহ করে আসছে। এখানে কোন ধোকাবাজি, প্রলোভন বা প্রতারনার সুযোগ নেই। কোম্পানীর বেধে দেয়া নিয়মে সারাদেশের মত পীরগঞ্জ টিম পরিচালিত হচ্ছে। তাই সংবাদটি সবৈ মিথ্যা ভিত্তিহীন অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত খামখেয়ালীপূর্ন ও মানহানীকর। তাই পীরগঞ্জ টিমের পক্ষে এহেন সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাই এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে যথারীতি ব্যবসা পরিচালনার জন্য সকল পরিবেশক ও সর্ব স্তরের জনসাধারনের প্রতি অনুরোধ করেছেন পীরগঞ্জ টিমের পরিচালক বাবু বীরেন্দ্র নাথ রায়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে তিয়ানশিকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট টাইম ০৫:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮

গত ১ জানুয়ারী/২০১৭ইং ঢাকা থেকে প্রকাশিত গণকন্ঠ পত্রিকায় “পীরগঞ্জে এমএলএম কোম্পানীর প্রতারনা চরমে ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় “নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমএলএম কোম্পানী” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পত্রিকা দু’টি একই হাউজ থেকে একই মালিকানাধীনে প্রকাশিত। সংবাদটির শিরোনাম পৃথক হলেও গর্ভস্থ সংবাদের কোথাও আলাদা বক্তব্য নেই। হুবহু একই নিউজ ২টি পত্রিকায় শিরোনাম বদলিয়ে হুবহু ছাপা হয়েছে। যা হোক, পত্রিকার সংবাদদাতা সাংবাদিকতার নীতিমাল লঙ্ঘন করে পৃথিবীর কমপক্ষে ১১০ টি দেশে একযোগে সুনামের সাথে পরিচালিত এবং বাংলাদেশেও একাধিকবার সর্বোচ্চ ট্যাক্স/ভ্যাট দাতা সেরা প্রতিষ্ঠানের সম্মান অর্জনকারী একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানীর সম্পর্কে ঢালাও এবং মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে এই প্রতিষ্ঠানের এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত পরিবেশকদের সুনাম ও ভাবমুর্তি শুধু ক্ষুন্ন করেনি বরং সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ পরিবেশনের আগে প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ শাখার প্রধান কিংবা প্রতিষ্টানের সর্বোচ্চ কতৃপক্ষের মতামত গ্রহন করা অবশ্য করনীয় হওয়া সত্বেও সংবাদদাতা অসৎ উদ্দেশ্যে, অন্যায় লাভের আশায় তার মনগড়া কল্পিত সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদটি সম্পকে পীরগঞ্জ টিমের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহ জনসাধারনের জ্ঞাতার্থে ব্যাখ্যা এই যে, তিয়ানসি কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠান নয়। তিয়ানসি কারো সাথে কখনো কোন প্রতারনা ও প্রলোভন দেখায়নি বা দেখায়না। ২০০৫ থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত ব্যবসার ১ যুগেরও বেশি সময়ে এই প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ কখনোই ওঠেনি। প্রলোভন ও প্রতারনা করে থাকলে প্রতিষ্টানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব হতোনা। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলার ব্যবস্থা রয়েছে। আর কোন ব্যাক্তি আইন লঙ্ঘন করলে সে দায় তার একান্তই নিজের। কোন ব্যাক্তির দায় কোম্পানীর উপর বর্তায়না এবং কোন একক ব্যাক্তির উপর কোম্পানী নির্ভরশীল নয়। তেমন অভিযোগ উঠলে কোম্পানী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। ২০১৪ সালে সারাদেশে এমএলএম কার্যক্রম বাতিল হবার পর উচ্চ আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি ম্যডাম নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে পরিচালিত বেঞ্চ (রিট নং ১০৩৮৩/১৪ তাং ১৮.১১.১৪ইং এর আদেশে) এই কোম্পানী বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ সময় রিট আবেদনকারী তিয়ানশি’র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবি ড.কামাল হোসেন ও এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান। সর্বশেষ গত ২০.১১.১৭ইং উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের একই রিটের সূত্র ধরে ৪৩৮৭৮/১৭ নং সিরিয়ালে নতুন করে আবেদন শুনানী অন্তে কার্যক্রম পরিচালনা ও সময় বৃদ্ধির আদেশে মাননীয় বিচারপতি মি. মো. আশফাকুল ইসলাম ও মি. বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আরো ৬ মাস কোম্পানীর কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রয়েছে। তিয়ানশি’র পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মি. এ.এম হাসান। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন মেনে বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সততার সাথে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ভবিষ্যতেও পরিচালনায় বদ্ধ পরিকর। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন জড়িত তেমনি করে অসংখ্য মানুষের জীবন জীবিকা এবং সুস্থ জীবন যাপনের বিষয় নিবিরভাবে নির্ভরশীল। এছাড়া তিয়ানশি পন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যপুষ্টি বিভাগে পরিক্ষিত, বিসিএসআইআর গবেষনাগার থেকে কেমিকেল পরীক্ষিত এবং বিএসটিআই,ঢাকার অনুমোদন সাপেক্ষে সারাদেশে সরবরাহ করে আসছে। এখানে কোন ধোকাবাজি, প্রলোভন বা প্রতারনার সুযোগ নেই। কোম্পানীর বেধে দেয়া নিয়মে সারাদেশের মত পীরগঞ্জ টিম পরিচালিত হচ্ছে। তাই সংবাদটি সবৈ মিথ্যা ভিত্তিহীন অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত খামখেয়ালীপূর্ন ও মানহানীকর। তাই পীরগঞ্জ টিমের পক্ষে এহেন সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাই এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে যথারীতি ব্যবসা পরিচালনার জন্য সকল পরিবেশক ও সর্ব স্তরের জনসাধারনের প্রতি অনুরোধ করেছেন পীরগঞ্জ টিমের পরিচালক বাবু বীরেন্দ্র নাথ রায়।