ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ৩০হাজার অসহায় দুস্হ শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন

মনসুর  আহাম্মেদঃ   ঠাকুরগাঁওয়ে প্রত্যেক শিশুর নিরাপদ, সুস্থ ও আনন্দময় শৈশবের প্রত্যাশা সকলের। হোক না সে গরিব দুস্থ ঘরের শিশু বা বড়লোক ঘরে জন্মানো শিশু। ভাবতেই চোখে ভাসবে নিষ্ঠুর শীতে ক’দিন আগে শৈশবের দুরন্তপনায় খেলার মাঠ কাঁপানো শিশুরা আজ শীতের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিশপ্ত শীত থেকে আমাদের নিজ মা, বাবা, সন্তানের সঙ্গে আমরা পাশের মা, বাবা, সন্তানেরও খোঁজ নেই! কিন্তু এই শীতে অসহায় শিশুদের কথা ভেবেছেন একজন মানবিকতার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত মানুষ।যখন ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপদস্থ। তখন অসহায় বৃদ্ধদের সাথে শিশুদের কথা ভেবে নতুন ৩০ হাজার সোয়েটার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করেন মানবিকতার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজি, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, সহযোগি সংগঠন ও কিছু পরিচিত ব্যাক্তির মাধ্যমে শিশুদের কাছে নতুন সোয়েটার পৌছে দিয়েছেন। হাসি ফুটিয়েছেন ওই সকল অসহায় দুস্থ শিশুদের মুখে।সমাজের অসহায়, গরিব দুস্থ মানুষগুলো এই নিষ্ঠুর অবিচারি শীতে কতই না কষ্ট পাচ্ছেন? সেই মানুষগুলোর জন্য কারও মাথা ব্যথার প্রয়োজন নেই! কেনই বা থাকবে, ওরা সমাজের কে? আর মানবতা দিয়েই বা কী হবে? আপনে বাঁচলে বাপের নাম! এমনটাই মনে করেন এখন অনেকে।কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের ছোট একটি উদ্যোগ জেলার দুস্থ পরিবারের ৩০ হাজার শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অসহায় দুস্থ ৩০ হাজার শিশুকে নতুন সোয়েটার দিয়ে তিনি একদিকে নতুন কাপড় পাওয়ার আনন্দ দিয়েছেন অন্যদিকে শীত নিবারণ করেছেন। তার এই উদ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার অনেক মানুষ। বর্তমানে সোয়েটার বিতরণের ছবি সকলের ফেসবুক জুরে রয়েছে। কমেন্টের মাধ্যমে ধন্যবাদ ও দোয়া করছেন অনেকে জেলা প্রশাসকের জন্য। ৩০ হাজার সোয়েটার জেলা প্রশাসক ৫টি উপজেলা, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, নব জাগ্রত ফাউন্ডেশন, জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক, বিভিন্ন সংগঠন, জেলা প্রশাসকের পরিচিত মানুষের সহযোগিতায় দুস্থ অসহায় শিশুদের মাঝে বিতরণ করেন।প্রবিণ সাংবাদিক আব্দুল লতিফ বলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে মানবতার শিক্ষা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার ভালো ভালো কাজ গুলো দেখে আমাদের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা গ্রহন করছে। তার ছোট ছোট উদ্যেগগুলো সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।ঠাকুরগাঁও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সমাজ পরির্বতনের জন্য আমাদের সকলের একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিৎ। আমরা যৌথ ভাবে চেষ্টা করলে সমাজের মানুষগুলো ভালো থাকবে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে মানবতার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের প্রয়োজন জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করা। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, আমরা সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি ছোট ছোট উদ্যেগ গ্রহন করি দুস্থ ও অসহায় মানুষ গুলোর জন্য, তাহলে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না আমাদের। আসুন না আমরা শীর্তাত অসহায় মানুষ গুলোর পাশে গিয়ে দাড়াই। সমাজকে বদলানোর অঙ্গিকার নিয়ে সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের সমাজ ও দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলি।

2 Attachments
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ৩০হাজার অসহায় দুস্হ শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন

আপডেট টাইম ০৭:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৮

মনসুর  আহাম্মেদঃ   ঠাকুরগাঁওয়ে প্রত্যেক শিশুর নিরাপদ, সুস্থ ও আনন্দময় শৈশবের প্রত্যাশা সকলের। হোক না সে গরিব দুস্থ ঘরের শিশু বা বড়লোক ঘরে জন্মানো শিশু। ভাবতেই চোখে ভাসবে নিষ্ঠুর শীতে ক’দিন আগে শৈশবের দুরন্তপনায় খেলার মাঠ কাঁপানো শিশুরা আজ শীতের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিশপ্ত শীত থেকে আমাদের নিজ মা, বাবা, সন্তানের সঙ্গে আমরা পাশের মা, বাবা, সন্তানেরও খোঁজ নেই! কিন্তু এই শীতে অসহায় শিশুদের কথা ভেবেছেন একজন মানবিকতার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত মানুষ।যখন ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপদস্থ। তখন অসহায় বৃদ্ধদের সাথে শিশুদের কথা ভেবে নতুন ৩০ হাজার সোয়েটার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করেন মানবিকতার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজি, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, সহযোগি সংগঠন ও কিছু পরিচিত ব্যাক্তির মাধ্যমে শিশুদের কাছে নতুন সোয়েটার পৌছে দিয়েছেন। হাসি ফুটিয়েছেন ওই সকল অসহায় দুস্থ শিশুদের মুখে।সমাজের অসহায়, গরিব দুস্থ মানুষগুলো এই নিষ্ঠুর অবিচারি শীতে কতই না কষ্ট পাচ্ছেন? সেই মানুষগুলোর জন্য কারও মাথা ব্যথার প্রয়োজন নেই! কেনই বা থাকবে, ওরা সমাজের কে? আর মানবতা দিয়েই বা কী হবে? আপনে বাঁচলে বাপের নাম! এমনটাই মনে করেন এখন অনেকে।কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের ছোট একটি উদ্যোগ জেলার দুস্থ পরিবারের ৩০ হাজার শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অসহায় দুস্থ ৩০ হাজার শিশুকে নতুন সোয়েটার দিয়ে তিনি একদিকে নতুন কাপড় পাওয়ার আনন্দ দিয়েছেন অন্যদিকে শীত নিবারণ করেছেন। তার এই উদ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার অনেক মানুষ। বর্তমানে সোয়েটার বিতরণের ছবি সকলের ফেসবুক জুরে রয়েছে। কমেন্টের মাধ্যমে ধন্যবাদ ও দোয়া করছেন অনেকে জেলা প্রশাসকের জন্য। ৩০ হাজার সোয়েটার জেলা প্রশাসক ৫টি উপজেলা, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, নব জাগ্রত ফাউন্ডেশন, জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক, বিভিন্ন সংগঠন, জেলা প্রশাসকের পরিচিত মানুষের সহযোগিতায় দুস্থ অসহায় শিশুদের মাঝে বিতরণ করেন।প্রবিণ সাংবাদিক আব্দুল লতিফ বলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে মানবতার শিক্ষা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার ভালো ভালো কাজ গুলো দেখে আমাদের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা গ্রহন করছে। তার ছোট ছোট উদ্যেগগুলো সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।ঠাকুরগাঁও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সমাজ পরির্বতনের জন্য আমাদের সকলের একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিৎ। আমরা যৌথ ভাবে চেষ্টা করলে সমাজের মানুষগুলো ভালো থাকবে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে মানবতার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের প্রয়োজন জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করা। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, আমরা সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি ছোট ছোট উদ্যেগ গ্রহন করি দুস্থ ও অসহায় মানুষ গুলোর জন্য, তাহলে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না আমাদের। আসুন না আমরা শীর্তাত অসহায় মানুষ গুলোর পাশে গিয়ে দাড়াই। সমাজকে বদলানোর অঙ্গিকার নিয়ে সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের সমাজ ও দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলি।

2 Attachments