সারাদিন ডেস্ক: একুশের প্রভাতফেরিতে ভাষার গানটির সঙ্গে সঙ্গে আরো একটি বিষয় বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আর সেটি হলো প্রভাতফেরির রাস্তায়, শহীদ মিনার চত্বরে, ‘আলপনা’ আঁকা থাকতেই হবে। আজ যত সহজ ও স্বাভাবিকভাবে শহীদ মিনার চত্বরে এবং সমাজ জীবনের যে কোন শুভ কাজে অনুষ্ঠান স্থলে ‘আলপনা’ আঁকা হয়। এর প্রতিষ্ঠায়ও রয়েছে সংগ্রামী ইতিহাস।
আর একুশের চেতনাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের কাছে তুলে ধরতে দ্বিতীয় বারের মত রাস্তায় রংয়ের তুলিতে আকাঁ একুশে আলপনার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় আলপনা আকাঁ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।
এ সময় তার সাথে সহযোগিতা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম মোল্লা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, উদিচীর সভাপতি সেতারা বেগম, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব, ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাদিমুল ইসলাম জাদু প্রমূখ।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, মনের মাধুরি মিশিয়ে কল্পনার জগৎকে ফুটিয়ে তোলার আরেক নাম আলপনা। বাঙালির সকল প্রাণের উৎসবে মিশে আছে আলপনার রং। আর ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে আঁকা আলপনা আমাদের আরও বেশি আকৃষ্ট করে ভাষার প্রতি, ভাষার জন্য আত্মত্যাগ কারীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ব্যক্ত করি। একুশ মানে ভাষা শহীদদের হারানোর শোক, একই সাথে একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। আমরা এভাবে আলপনার মাধ্যমে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই একটি কথা,আসুন আমরা এভাবে সুন্দর করে দেশটা সাজাই।