ডালিয়ান বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে শাংগ্রিলী-হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। ডালিয়ান সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২রা জুলাই ডালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাব্লিউইএফ সামার দেভোর্স-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর একটি মোটরশোভা যাত্রায় তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ডাইয়াউতাইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে বিকেলে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নৈশ ভোজ সভায় যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা ৪ঠা জুলাই সকালে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ বীরদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক নৈশ ভোজে যোগ দিবেন। তিনি একই দিনে বিকেলে সিসিপিআইটি’তে চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বাণিজ্য রাউন্ড টেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ই জুলাই সকালে ‘প্যানগোয়াল ইনিস্টিটিউশন’ নামে একটি চীনা থিঙ্ক ট্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার কর্মসূচি রয়েছে। চীনা কোম্পানিগুলোর সিইওগণ তাঁর হোটেল স্যুটে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং তিনি এনপিসি লী ঝাংশু’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ডাইয়াউতাইয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের দেয়া এক ভোজ সভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী চীনে তার সফর শেষে ৬ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চীনের রাজধানী বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করবেন এবং একই দিনে বাংলাদেশ সময় দুপুরে তিনি দেশে পৌছাবেন। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শুক্রবার বলেন, চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দিনের সরকারি সফরের আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে। এ সময়ে বেইজিং এর সঙ্গে ঢাকা আটটি স্বাক্ষর করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আশা করেন-রোহিঙ্গা সংকটটি নিরসনে চীন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।