স্বশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী সমাধি বেদীর পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপর ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও অংশ নিচ্ছেন জাতীয় শোক দিবসের এই কর্মসূচীতে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন। সেখান থেকেই তিনি বেলা ১১টার পর সমাধিসৌধ মসজিদ চত্বরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন।
প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রী দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ছাড়ার পর সমাধিপ্রাঙ্গণ সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। সর্বস্তরের মানুষ এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটির দিন। সরকারী কর্মসূচীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচীতে দিনটি পালন করছে।