বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, নির্দেশ অনুযায়ী ওই যুবককে জনসম্মুখে এনে বেত্রাঘাত শুরু করেন ইন্দোনেশিয়ার এক শরিয়াহ কর্মকর্তা। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই যুবক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেত্রাঘাত সহ্য করতে না পেরে ওই যুবক জ্ঞান হারান। পরে একটু বিরতি দিয়ে সামান্য চিকিৎসা শেষে আবারও বেত্রাঘাতের পূর্ণাঙ্গ সাজা কার্যকর করা হয় তার।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার দায়ে ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আচেহ প্রদেশের তিমুর জেলার একটি মসজিদের বাইরে অভিযুক্ত নারীকেও একই সঙ্গে ১০০ বেত্রাঘাত করা হয়। তবে এই যুবক ছাড়াও অন্য এক পুরুষের সঙ্গে ওই নারীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে।
বেত্রাঘাতের এই সাজা কার্যকরের দৃশ্য দেখার জন্য সেখানে পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। এ সময় অনেকে আরও কঠোর সাজার দাবি জানিয়ে চিৎকার করেন। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আইন লঙ্ঘন করলে তাদেরও একই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে গত জুলাইয়ে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার দায়ে তিন ব্যক্তির প্রত্যেককে ১০০টি করে বেত্রাঘাতের সাজা দেয় দেশটির শরিয়াহ দপ্তর। এই তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ে শিশুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত অবস্থায় ধরে ফেলেন দেশটির কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের রক্ষণশীল আচেহ প্রদেশে কট্টর ইসলামি আইন চালু রয়েছে। এ আইনে জুয়া খেলা, মদপান, সমকামিতা কিংবা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হলে অভিযুক্তদের জনসম্মুখে এনে বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সমালোচনা সত্ত্বেও এ আইনের কঠোর প্রয়োগ রয়েছে দেশটিতে। তবে আচেহ প্রদেশেই বিশ্বের শীর্ষ এই মুসলিম দেশের একমাত্র অঞ্চল; যেখানে ইসলামি আইন শতভাগ চালু রয়েছে ।