প্রতিনিধি:: অভিবাসী শনাক্ত করতে নতুন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। আর এ পদ্ধতি চালুর জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) দেশটির টেলোক মেলানো জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ) সাব ট্যাকটিক্যাল (সুবটেক) পোস্ট পরিদর্শনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দাতুক সেরি হামজাহ জায়নুদিন এসব বলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিদেশিদের চলাফেরার ট্র্যাক করার ক্ষমতা বাড়াতে (মাইআইএমএম) প্রতিস্থাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এনআইআইএসই) চালু করতে যাচ্ছে। পদ্ধতিটি পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠলে অভিবাসন দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
‘বিদেশিদের বহিরাগত প্রবাহ চিহ্নিতকরণে আমরা বিদ্যমান ব্যবস্থার দুর্বলতা স্বীকার করি, তাই আমরা এনআইআইএসই-এর বিকাশ করে ব্যবস্থার উন্নতি করবো’। ইমিগ্রেশন অভিবাসীদের চলাফেরা শনাক্ত করতেই মূলত এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে
রেশন মহাপরিচালক দাতুক ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমি দাউদ, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ও পাবলিক অর্ডার বিভাগের পরিচালক (কেডিএনকেএ) বুকিত আমান, দাতুক সেরি অ্যাক্রিল সানী আবদুল্লাহ সানী, স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব দাতুক রহমাহ রামলি এবং সরওয়াক পুলিশ কমিশনার, দাতুক এইডি ইসমাইল।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সময়কালে সিস্টেম বিঘ্ন (ডাউনটাইম) এর কারণে বিদেশিদের চলাচল নিশ্চিত করতে মাইআইএমএস সিস্টেমের ব্যর্থতা সম্পর্কে অডিটর জেনারেলের প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
মাইআইএমএম-এর দ্বারা নিয়মিত বাধার সম্মুখীন হওয়ার পরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯১২,৩৭৪ বিদেশির মধ্যে মোট ২১৪,৩৯৮ বিদেশি মালয়েশিয়ার বহির্গমন রেকর্ডটি নেই। এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশে পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন বিদেশি রয়েছে যাদের নথি নেই। প্রতি বছর ৫ লাখেরও কম বিদেশি চেক করা হয় না এবং এই সংখ্যাটির বাইরে কেবল প্রায় ২০ হাজার বা ২০ শতাংশেরও কম অবৈধদের আটক করা হয়।