ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট : ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ দবিরুল ইসলাম এমপি’র বালিয়াডাঙ্গীস্থ বাসভবনে ডাকাতির ঘটনায় স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগে ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত নামীয় আসামী করে মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা সময় ২০/২৫ জন ডাকাত হাফপেন্ট ও মুখোশ পড়ে দবিরুল ইসলাম এমপি’র ডাঙ্গীস্থ তিনতালা বাসায় প্রবেশ করে ৮টি রুম তছনছ করে। এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলামের অসুস্থ স্ত্রী মোমিনা খাতুনের কাছে ডাকাতরা চাবী চাইলে তার কাছে চাবী নাই বলে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলার চেইন ও হাতে থাকা স্বর্ণের বালা খুলে নেয়।
এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানায় এমপি দবিরুল ইসলামের ছোটভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম্হোাম্মদ আলী ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৯।
এ দিকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডাকাতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান ওই থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান।
মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী জানান, পুলিশ দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবেন। পুলিশের এএসপি সার্কেল হাসিবুল আলম জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তের স্বার্থে বাসার নৈশ্য প্রহরী দবিরুল ইসলাম-দারাজুলসহ বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এমপি দবিরুল ইসলাম চিকিৎসা জনিত কারণে বর্তমানে বিদেশে (থাইল্যান্ড) অবস্থান করছেন। দুই ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ও ছোটছেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম সুমন তার সাথেই আছেন।
ডাকাতির ঘটনা অনুসন্ধানে রংপুর পিবিআই, জেলা পুলিশ, সিআইডি সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট মাঠে কাজ করছে। যার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরের প্রধান এডিশনাল এসপি শহিদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর আবু হাসান, আবু হোসেন,এসআই বিকাশ, এএসআই হাবিব সহ একদল পিবিআই সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় রংপুর রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মজিদ আলী, সিআইডি পুলিশের এএসপি আরিফ আহম্মেদ, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, ঠাকুরগাঁও জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো.আখতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন ।