বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে অধ্যক্ষ জামিন আবেদন করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের ছেলে।
বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, বাকেরগঞ্জ ৭ নং কবাই ইউপির সোনাকান্দা গ্রামের ওই তরুণীর সাথে অটোতে যাতায়াত করার সময় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে সে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে অধ্যক্ষ ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও তার কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে তরুণী ও অধ্যক্ষের মধ্যে ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণে লিপ্ত হয়। তরুণী তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম পুনরায় কলেজে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে।
তরুণী আবারো তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় চলতি বছর ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
মামলা দায়েরের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জানিন নেন। নিম্ন দালতের সন্তুষ্টিতে উপযুক্ত জামিননামা দাখিল সাপেক্ষে বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ তাকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।
বুধবার উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন কররেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।