ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘বেঁধে দিলেন’ কাদের সিদ্দিকী! পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি

শিক্ষকের ধর্ষণফাঁদে তরুণী, অতঃপর…

বরিশাল প্রতিনিধি::কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে অধ্যক্ষ জামিন আবেদন করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের ছেলে।

বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, বাকেরগঞ্জ ৭ নং কবাই ইউপির সোনাকান্দা গ্রামের ওই তরুণীর সাথে অটোতে যাতায়াত করার সময় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে সে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে অধ্যক্ষ ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও তার কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে তরুণী ও অধ্যক্ষের মধ্যে ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

এরই ধারাবাহিকতায় অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণে লিপ্ত হয়। তরুণী তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম পুনরায় কলেজে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে।

তরুণী আবারো তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় চলতি বছর ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।

মামলা দায়েরের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জানিন নেন। নিম্ন দালতের সন্তুষ্টিতে উপযুক্ত জামিননামা দাখিল সাপেক্ষে বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ তাকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।

বুধবার উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন কররেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

শিক্ষকের ধর্ষণফাঁদে তরুণী, অতঃপর…

আপডেট টাইম ১২:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
বরিশাল প্রতিনিধি::কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে অধ্যক্ষ জামিন আবেদন করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের ছেলে।

বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, বাকেরগঞ্জ ৭ নং কবাই ইউপির সোনাকান্দা গ্রামের ওই তরুণীর সাথে অটোতে যাতায়াত করার সময় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে সে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে অধ্যক্ষ ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও তার কলেজে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে তরুণী ও অধ্যক্ষের মধ্যে ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

এরই ধারাবাহিকতায় অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণে লিপ্ত হয়। তরুণী তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তরুণীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম পুনরায় কলেজে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে।

তরুণী আবারো তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় চলতি বছর ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।

মামলা দায়েরের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জানিন নেন। নিম্ন দালতের সন্তুষ্টিতে উপযুক্ত জামিননামা দাখিল সাপেক্ষে বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ তাকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।

বুধবার উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন কররেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।