ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

বঙ্গবন্ধুর এক খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

অনলাইন ডেস্ক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি সেনাবাহিনীর বরখাস্ত রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ওরফে মোসলেম উদ্দিন খানসহ ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে সরকার।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সুপারিশের আলোকে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গত ৫ জানুয়ারি গেজেট হয়েছে, যা আজ রবিবার প্রকাশ করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মোসলেহ উদ্দিনসহ পাঁচজন পালিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে চারজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরত্বের খেতাব পেয়েছিলেন। হাই কোর্ট এক আদেশে তাদের সেই খেতাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি মোসলেহ উদ্দিন পলাতক আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেন। গত ১৯ নবেম্বর জামুকার সভায় মোসলেহ উদ্দিনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। মোসলেহ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে। মোসলেহ উদ্দিনের সেনা গেজেট নং-৬৪৩। তিনি কিছু দিন আগে ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত করেনি সরকার।

সনদ বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন— নরসিংদী সদরের আবুল ফজল, মো. জয়নাল, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা, গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের, মো. আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান ও মরহুম মো. আবদুল মালেক।

কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত, বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ, মো. ওসমান আলী, মো. জাকির হোসেন, আ. কাদের মোল্লা, আ. রহমান, আ. জব্বার, সরদার মো. বয়েত রেজা, মো. শামসুল হক, মৃত সিরাজুল ইসলাম, মো. আ. গফুর খান, মো. শফি উদ্দিন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আ. রব, মো. জামাত আলী, মো. আ. সামাদ, মো. আফজাল হোসেন, মো. আ. আউয়াল, মো. রফিকুল ইসলাম, মৃত আনছার আলী, মৃত নুরুল ইসলামের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম, পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আব্দুল বাছেদ করিম ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার, মৃত আলী আকবর, মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, আবদুল মাজেদ, বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস, মো. আবদুল হাকিম মোল্লা, এছাহাক মুন্সি, আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার, মৃত মো. আ. রহিম, হারুন অর রশিদ এবং আ. রহমান সরদারের সনদ বাতিল করা হয়।

এছাড়াও কিশোরগঞ্জের মৃত মো. মুখলেছুর রহমান, মো. নাসিরুল ইসলাম খান ও মো. আজিজুল হকের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

বঙ্গবন্ধুর এক খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

আপডেট টাইম ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি সেনাবাহিনীর বরখাস্ত রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ওরফে মোসলেম উদ্দিন খানসহ ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে সরকার।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সুপারিশের আলোকে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গত ৫ জানুয়ারি গেজেট হয়েছে, যা আজ রবিবার প্রকাশ করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মোসলেহ উদ্দিনসহ পাঁচজন পালিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে চারজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরত্বের খেতাব পেয়েছিলেন। হাই কোর্ট এক আদেশে তাদের সেই খেতাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি মোসলেহ উদ্দিন পলাতক আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেন। গত ১৯ নবেম্বর জামুকার সভায় মোসলেহ উদ্দিনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। মোসলেহ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে। মোসলেহ উদ্দিনের সেনা গেজেট নং-৬৪৩। তিনি কিছু দিন আগে ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত করেনি সরকার।

সনদ বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন— নরসিংদী সদরের আবুল ফজল, মো. জয়নাল, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা, গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের, মো. আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান ও মরহুম মো. আবদুল মালেক।

কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত, বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ, মো. ওসমান আলী, মো. জাকির হোসেন, আ. কাদের মোল্লা, আ. রহমান, আ. জব্বার, সরদার মো. বয়েত রেজা, মো. শামসুল হক, মৃত সিরাজুল ইসলাম, মো. আ. গফুর খান, মো. শফি উদ্দিন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আ. রব, মো. জামাত আলী, মো. আ. সামাদ, মো. আফজাল হোসেন, মো. আ. আউয়াল, মো. রফিকুল ইসলাম, মৃত আনছার আলী, মৃত নুরুল ইসলামের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম, পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আব্দুল বাছেদ করিম ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার, মৃত আলী আকবর, মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, আবদুল মাজেদ, বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস, মো. আবদুল হাকিম মোল্লা, এছাহাক মুন্সি, আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার, মৃত মো. আ. রহিম, হারুন অর রশিদ এবং আ. রহমান সরদারের সনদ বাতিল করা হয়।

এছাড়াও কিশোরগঞ্জের মৃত মো. মুখলেছুর রহমান, মো. নাসিরুল ইসলাম খান ও মো. আজিজুল হকের সনদ বাতিল করা হয়েছে।