আজম রেহমান:: অবশেষে ঈদের আগের রাতে দোকান থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে হত্যার শিকার জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট গ্রামের ব্যবসায়ী ইসাহাকের হত্যার রহস্য খুলতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৩ সন্দেহভাজন খুনিকে আটক করতে সক্ষম হলেও অপর ২ জন আত্নগোপনে আছেন। গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ১.২৫ এর মধ্যে অজ্ঞাত সন্ত্রাশীদের আক্রমনে খুন হয় কম্পিউটার ও ফটোস্টাট দোকানী ইসাহাক আলী(২৮)। তাকে জবাই করে তার কাছে থাকা কিছু টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় দুবৃত্তরা। পরদিন ইসাহাকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে ইউসুফ আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। যার নং ১১ তারিখ ২০.৭.২১ ইং। ধারা ৩০২/৩৪ দ.বি.। মামলার তদন্তকারী অফিসার মো.আশরাফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যার পর পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নয়ন(২৫) পিতা ইকরামুল কে ঢাকা থেকে আটক করে ২৮ জুলাই সন্ধায় পীরগঞ্জে নিয়ে আসেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দিনাজপুর থেকে অপর ২ আসামী বৈরচুনা গ্রামের আরিফুল ইসলাম পিতা আজাহারুল ইসলাম ও চন্দরিয়া গ্রামের মেজবাহ কে গ্রেপ্তার করেন। এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোকবেক পলাতক আসামী আশরাফুলের বাড়ীর খড়ির ঢিপি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১ টি চাকু ও ১ টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার জন্য এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। হত্যার পর ইসাহাকের কাছে থাকা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা তারা ৫ জনে ভাগাভাগি করে নেয় বলে জানা গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ক্লুলেস হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তারে সার্বক্ষনিক তদারকি ও নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব. অফিসার ইনজার্চ প্রদিপ কুমার রায় ও ইন্সপ্ক্টের তদন্ত খাইরুল ইসলাম ডন।