শুক্রবার রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হুয়। আবার দেখা যায় অনুমোদন পাবার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এসকল বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছে তেমন করবে সেটা কখনও আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয়। ভালো মানের আইপি টিভি অনুমোদন পাবে এবং যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় আইপি টিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহবান করেছিল। প্রায় পাঁচশতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও আমরা গুছিয়ে এনেছি। যেগুলোর মান ভালো, সেগুলোর রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হবে।
জয়যাত্রা নামের আইপি টিভি পরিচালনাকারী হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপকমিটিতে এধরণের কারো ঢোকা সমীচীন হয়নি, এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। যারা সুপারিশ করেছেন, তাদেরও আরো জানাশোনার দরকার ছিল। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তার আইপি টিভির বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখবো, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।