করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরণের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ রাত ১২টায়।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
যেসব ইউপিতে ভোট হবে- খুলনা কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর। দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা, যোগীপুল। পাইকগাছার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা ও কপিলমুনি।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহির দিয়ামানসা, নলধা মৌভোগ ও শুভদিয়া। মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি, গাওলা ও কুলিয়া। চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী, চরবানিয়ারী, কলাতলা ও সন্তোষপুর। কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া ও বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, উজলপুর, রামপাল, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া। মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাংগা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন। মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরন, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়ীয়া, মোড়েলগঞ্জ, তেলিগাতী, পুটিখালী, রামচন্দ্রপুর, জিউধরা, বারইখালী। শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী। বাগেরহাট সদরের বারুইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়গাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর, খলিলনগর, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিষখালী।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চর আমানউল্যাহ, পূর্বচরবাটা ও মোহাম্মদপুর। হাতিয়ার মুছাপুর, চরহাজারী। হাতিয়ার চর ঈশ্বর, চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও নিঝুমদ্বীপ।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্ল্যা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া।
কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী ও উত্তরধুরুং। পেকুয়ার টেটং। টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং।
যে ৯ পৌরসভা নির্বাচন হবে- কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে যশোরের নওয়াপাড়া এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালী।
উল্লেখ্য, গত মার্চে কয়েক ধাপে সবগুলো উপজেলায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এরপর ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করে। ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের জন্যে তারিখও নির্ধারণ করা হয়। তবে, করোনাভাইরাসের কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। এরপর ২১ জুন ভোটগ্রহণের জন্যে দিন ঠিক করা হয়।
জুনের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ১৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে, গত ২১ জুন বাকি ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে যোগাযোগ সমস্যার কারণে ২০ সেপ্টেম্বর সেন্টমার্টিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এ ছাড়া, আরও পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।