বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ তারা তাদের দাবি জানিয়ে গুলিস্তান ও মতিঝিলের সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০টি দাবি ঘোষণা করেন।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে….
১. যথাযথ তদন্ত করে আমার ভাইয়ের (শিক্ষার্থী নাঈম) হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া, ২. জেলা শহরের বিভিন্ন রুটে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু, ৩. স্কুল-কলেজের সামনে হর্ন ও ওভারস্পিডিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে জরিমানা ও প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের অধিকার দেওয়া, ৪. সব শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করা, ৫. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একাধিক স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, ৬. শহরের প্রত্যকটি অচল ট্রাফিক লাইটের সংস্করণ এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, ৭. ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ, ৮. জেব্রা ক্রসিংয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করা, ৯. চলন্ত বাসে যাত্রী ওঠানামা করালে প্রত্যেক বাসকে আইনের আওতায় আনা এবং ১০. সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
এদিকে দিনের শুরুতে তারা কলেজের সামনে জড়ো হন নটরডেম শিক্ষার্থী। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা শাপলা চত্বরের সড়কে অবস্থান নেন। পরে শিক্ষার্থীরা মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজউক ভবনের দিকে যান। সেখান থেকে তারা গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।
এসময় তারা, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমরা বিচার চাই’ ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৮) হাসান নিহত হন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।