ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

নির্মান কাজে রডের বদলে বাশ-অভিযোগের সত্যতা মেলেনি

ষ্টাফ রিপোর্টার,ঠাকুরগাঁও:: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট কলেজে নির্মান প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে রডের বদলে বাশ’র অভিযোগের সত্যতা মিলেনি বরং ঘটনাটি কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে করেছে মর্মে প্রমানিত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদমিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে কলেজের অধ্যক্ষ, অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে কলেজের ওয়াস ব্লক নির্মান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সদ্য নির্মিত একটি স্লাবের ঢাকনার এক প্রান্তে বাশের বাতা দেখতে পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যেও একটি কদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শামীম আখতার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম ও ইউডিএফ প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করেন। প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে কলেজ কতৃপক্ষ, শিক্ষক কর্মচারী সহ স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। জানা গেছে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) থেকে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ইন্সকেকশন কাজ শুরু করেন এলাকার তরুন ঠিকাদার মোঃ ফারুক হোসেন। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। ২০ ভাগ কাজ চলমান রয়েছে। ইন্সপেকশন এর ২/২ ফিট একটি ঢাকনায় সচরাচর ৩/৪ কেজি লোহার রড প্রয়োজন হয় যার বাজার মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সমগ্র কাজ সঠিক ভাবে শেষ করে একটি ঢাকনা নির্মানে ৩০০ টাকার রড ফাকির বিষয়টি স্থানীয়রা মানতে নারাজ। এ ছাড়া অন্যান্য ঢাকনাগুলোও ঠিকাদারের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছে, যেগুলোতে যথাযথভাবে রডের ব্যবহার দেখা গেছে। তদন্ত কমিটি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতে বিষয়টি অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা পরিকল্পিত উপায়ে সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ ফারুক হোসেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে পীরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছি। একটি মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে গভীর ষড়যন্ত্র করছে এবং মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আমার মানহানী করেছে, আমি সংশ্লিষ্ট সংবাদগুলোর তীব্র প্রতিবাদ সহ নিন্দা জানাই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নির্মান কাজে রডের বদলে বাশ-অভিযোগের সত্যতা মেলেনি

আপডেট টাইম ০৯:৩৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টার,ঠাকুরগাঁও:: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট কলেজে নির্মান প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে রডের বদলে বাশ’র অভিযোগের সত্যতা মিলেনি বরং ঘটনাটি কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে করেছে মর্মে প্রমানিত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদমিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে কলেজের অধ্যক্ষ, অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে কলেজের ওয়াস ব্লক নির্মান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সদ্য নির্মিত একটি স্লাবের ঢাকনার এক প্রান্তে বাশের বাতা দেখতে পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যেও একটি কদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শামীম আখতার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম ও ইউডিএফ প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করেন। প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে কলেজ কতৃপক্ষ, শিক্ষক কর্মচারী সহ স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। জানা গেছে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) থেকে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ইন্সকেকশন কাজ শুরু করেন এলাকার তরুন ঠিকাদার মোঃ ফারুক হোসেন। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। ২০ ভাগ কাজ চলমান রয়েছে। ইন্সপেকশন এর ২/২ ফিট একটি ঢাকনায় সচরাচর ৩/৪ কেজি লোহার রড প্রয়োজন হয় যার বাজার মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সমগ্র কাজ সঠিক ভাবে শেষ করে একটি ঢাকনা নির্মানে ৩০০ টাকার রড ফাকির বিষয়টি স্থানীয়রা মানতে নারাজ। এ ছাড়া অন্যান্য ঢাকনাগুলোও ঠিকাদারের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছে, যেগুলোতে যথাযথভাবে রডের ব্যবহার দেখা গেছে। তদন্ত কমিটি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতে বিষয়টি অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা পরিকল্পিত উপায়ে সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ ফারুক হোসেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে পীরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছি। একটি মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে গভীর ষড়যন্ত্র করছে এবং মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আমার মানহানী করেছে, আমি সংশ্লিষ্ট সংবাদগুলোর তীব্র প্রতিবাদ সহ নিন্দা জানাই।