ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের রায়ের পরেও সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা রবী রায়

ai

ইয়াসমিন রেহমান অনন্যা,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)::১১বছর ধরে আইনী লড়াই করে আদালতের রায় নিজের পক্ষে পেয়েও সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অসহায় রবী রায়। প্রায় ১ যুগ ধরে কোর্ট-কাচারীর বারান্দায় ঘুরে ঘুরে এখন ক্লান্ত তিনি।
জানা যায়, উপজেলার কাস্তোর গ্রামের মৃত যোগেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র দীনেশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে কলিতা বালার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদকালে কলিতা বালা অন্তস্বত্বা ছিলেন। পিতার বাড়ীতে অবস্থানকালে কলিতা বালা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ছেলের নাম রাখেন রবী চন্দ্র রায়। এর পর কলিতা বালার অন্যত্র বিবাহ হলে রবী রায় অসহায় হয়ে নানা-মামার আশ্রযে বড় হন। সাবালক হওয়ার পরে ২০১১ ইং সালে তিনি তার পিতার মুখোমুখি হলে পিতৃত্ব অস্বীকার করায় রবী রায় ঠাকুরগাঁও পারিবারিক আদালতে ঘোষনামূলক ডিক্রি চেয়ে মামলা করেন। যার মোকদ্দমা নং ৩১/১১ অন্য। মামলায় ফরমাল ডিফেক্ট থাকায় মামলাটি ফেরত সাপেক্ষে পূনরায় মামলা করেন। যার নং ১২/১৬ অন্য। দীর্ঘ ১১ বছর পর আদালত মামলার রায় ঘোষনা করে। রায়ে আদালত রবী রায় কে দীনেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র এবং বৈধ উত্তরাদিকারী ঘোষনা পূর্বক ডিক্রির আদেশ দেন। ৭/৮/২২ ইং তারিখে এই রায় ঘোষিত হলেও স্কুল শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র, রবি রায়কে তার পুত্র হিসেবে স্বীকতি না দিয়ে আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন। এ ব্যাপারে সচেতন মহল আইন প্রয়োগকারী কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

আদালতের রায়ের পরেও সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা রবী রায়

আপডেট টাইম ০৪:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

ইয়াসমিন রেহমান অনন্যা,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)::১১বছর ধরে আইনী লড়াই করে আদালতের রায় নিজের পক্ষে পেয়েও সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অসহায় রবী রায়। প্রায় ১ যুগ ধরে কোর্ট-কাচারীর বারান্দায় ঘুরে ঘুরে এখন ক্লান্ত তিনি।
জানা যায়, উপজেলার কাস্তোর গ্রামের মৃত যোগেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র দীনেশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে কলিতা বালার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদকালে কলিতা বালা অন্তস্বত্বা ছিলেন। পিতার বাড়ীতে অবস্থানকালে কলিতা বালা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ছেলের নাম রাখেন রবী চন্দ্র রায়। এর পর কলিতা বালার অন্যত্র বিবাহ হলে রবী রায় অসহায় হয়ে নানা-মামার আশ্রযে বড় হন। সাবালক হওয়ার পরে ২০১১ ইং সালে তিনি তার পিতার মুখোমুখি হলে পিতৃত্ব অস্বীকার করায় রবী রায় ঠাকুরগাঁও পারিবারিক আদালতে ঘোষনামূলক ডিক্রি চেয়ে মামলা করেন। যার মোকদ্দমা নং ৩১/১১ অন্য। মামলায় ফরমাল ডিফেক্ট থাকায় মামলাটি ফেরত সাপেক্ষে পূনরায় মামলা করেন। যার নং ১২/১৬ অন্য। দীর্ঘ ১১ বছর পর আদালত মামলার রায় ঘোষনা করে। রায়ে আদালত রবী রায় কে দীনেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র এবং বৈধ উত্তরাদিকারী ঘোষনা পূর্বক ডিক্রির আদেশ দেন। ৭/৮/২২ ইং তারিখে এই রায় ঘোষিত হলেও স্কুল শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র, রবি রায়কে তার পুত্র হিসেবে স্বীকতি না দিয়ে আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন। এ ব্যাপারে সচেতন মহল আইন প্রয়োগকারী কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।