ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

নারী সহকর্মীকে উত্ত্যক্ত করায় চররাজিবপুরের ইউএনওকে তিরস্কার

স্টাফ রিপোর্টার:: নারী সহকর্মীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শাস্তি পাওয়া ইউএনও অমিত চক্রবর্তী বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার চররাজিবপুরে ইউএনও’র দায়িত্বে আছেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইউএনও থাকার সময় তিনি সহকারী কমিশনার সানজিদা রহমানকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ আসে। বিভাগীয় মামলার পর তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি এই কর্মকর্তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অমিত চক্রবর্তী ২০২১ সালের ২৫শে জুলাই থেকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও থাকাকালে তার অধীন কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা রহমানের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভন কথোপকথন, তার স্বামী যেন বদলি হয়ে নীলফামারী জেলায় না আসেন সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগসহ তার বাচ্চা যেন রংপুরে থাকে এবং তিনি কর্ম এলাকায় (স্টেশনে) থেকে যেন চাকরি করেন- এসব বিষয়েও চাপ প্রয়োগ করেন। এ ছাড়া অভিযোগ ওঠে তিনি ওই নারী সহকর্মীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে বডি স্প্রে কিনে দেয়া, রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলা, ফোন দিয়ে ভারসাম্যহীন ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলা, রাত ৮টা থেকে ৯টার সময় অফিসে কোনো কাজ না থাকলেও অফিসে বসিয়ে রাখা, মাস্ক পরে তার সামনে বসতে নিষেধ করা, বন্ধের দিনে ফোন ওয়েটিংয়ে থাকা নিয়ে চাপ প্রয়োগ করার মতো শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেন। একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে খুবই অশোভন আচরণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। একইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে তদন্তও করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, অভিযোগগুলোর মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভনীয় কথোপকথন বা চ্যাটিং করা এবং ওই নারী কর্মকর্তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও নারী সহকর্মীকে বডি স্প্রে কিনে দেয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ সংঘটনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এসব কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত’ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য অভিযোগের মাত্রা ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় অমিত চক্রবর্তীকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেয়া হলো।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নারী সহকর্মীকে উত্ত্যক্ত করায় চররাজিবপুরের ইউএনওকে তিরস্কার

আপডেট টাইম ০২:২৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার:: নারী সহকর্মীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শাস্তি পাওয়া ইউএনও অমিত চক্রবর্তী বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার চররাজিবপুরে ইউএনও’র দায়িত্বে আছেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইউএনও থাকার সময় তিনি সহকারী কমিশনার সানজিদা রহমানকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ আসে। বিভাগীয় মামলার পর তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি এই কর্মকর্তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অমিত চক্রবর্তী ২০২১ সালের ২৫শে জুলাই থেকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও থাকাকালে তার অধীন কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা রহমানের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভন কথোপকথন, তার স্বামী যেন বদলি হয়ে নীলফামারী জেলায় না আসেন সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগসহ তার বাচ্চা যেন রংপুরে থাকে এবং তিনি কর্ম এলাকায় (স্টেশনে) থেকে যেন চাকরি করেন- এসব বিষয়েও চাপ প্রয়োগ করেন। এ ছাড়া অভিযোগ ওঠে তিনি ওই নারী সহকর্মীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে বডি স্প্রে কিনে দেয়া, রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলা, ফোন দিয়ে ভারসাম্যহীন ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলা, রাত ৮টা থেকে ৯টার সময় অফিসে কোনো কাজ না থাকলেও অফিসে বসিয়ে রাখা, মাস্ক পরে তার সামনে বসতে নিষেধ করা, বন্ধের দিনে ফোন ওয়েটিংয়ে থাকা নিয়ে চাপ প্রয়োগ করার মতো শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেন। একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে খুবই অশোভন আচরণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। একইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে তদন্তও করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, অভিযোগগুলোর মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশোভনীয় কথোপকথন বা চ্যাটিং করা এবং ওই নারী কর্মকর্তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও নারী সহকর্মীকে বডি স্প্রে কিনে দেয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ সংঘটনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এসব কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত’ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য অভিযোগের মাত্রা ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় অমিত চক্রবর্তীকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেয়া হলো।