শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর ২ হাজার ৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯১ জন। যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬২৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৮ জন, অর্থাৎ ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
বিদায়ী বছরটিতে ১৯৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩১৯ জন নিহত, ৭৩ জন আহত এবং ৯২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৫৪ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২৬ জন নিহত এবং ১১৩ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩ হাজার ৯১ জন, বাস যাত্রী ৪২৭ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৪৫৩ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ যাত্রী ২৬৮ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি- অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক টেম্পু-লেগুনা) ১২৪৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের (নসিমন- ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-চালের গাড়ি-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম) যাত্রী ৩৯৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যান্ডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ২০৬ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫৯৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ২২০৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ১১৮২টি গ্রামীণ সড়কে, ৭৮৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬২টি সংঘটিত হয়েছে।