ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙতেই মার্কিন ভিসা নীতি’

স্টাফ রিপোর্টার:: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে আর কেউ নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ওয়াদা করেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। কিন্তু সেবার দিনেও ভোট চুরি হয়েছে, রাতেও চুরি হয়েছে। আবারও একই সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা গোপনে কাজ সারতে পারদর্শী। অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এটা খুবই লজ্জার। যারা হাসিঠাট্টা করছে তাদের দুই কান কাটা গেছে। যে সমস্ত দেশে নির্বাচন নিয়ে ভিসা নীতি দেয়া, সেগুলো নির্বাচনের পরে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনের ৭ মাস আগেই এসেছে।

এতে বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এজন্য তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচনের  সাত মাস আগেই তারা একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ভোট চুরির যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তা ভাঙতে হলে ভিসা নীতি ছাড়া উপায় ছিল না। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ও বাংলাদেশের সংকট’–শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশের বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলেও সরকার তা চায় না। এ কারণেই বিরোধীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে।  দেশ সংকটে পড়লে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এখন নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সভায় সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে আজ দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। ভিসা নীতিতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এ দেশে কী ধরনের নির্বাচন হয়। সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের লবিস্ট বা কনসালট্যান্টরা চেষ্টা করছেন, এই যে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থেকে ঘুরে আসলেন সেখানে হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা কংগ্রেসে দেখা করা যায়। গত ৫২ বছর আমরা স্বাধীন হয়েছি, এরশাদের মতো নেতাও আমেরিকা গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা না করে ফেরেননি। এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।

সভায় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া পলাশের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙতেই মার্কিন ভিসা নীতি’

আপডেট টাইম ০২:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে আর কেউ নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ওয়াদা করেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। কিন্তু সেবার দিনেও ভোট চুরি হয়েছে, রাতেও চুরি হয়েছে। আবারও একই সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা গোপনে কাজ সারতে পারদর্শী। অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এটা খুবই লজ্জার। যারা হাসিঠাট্টা করছে তাদের দুই কান কাটা গেছে। যে সমস্ত দেশে নির্বাচন নিয়ে ভিসা নীতি দেয়া, সেগুলো নির্বাচনের পরে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনের ৭ মাস আগেই এসেছে।

এতে বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এজন্য তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচনের  সাত মাস আগেই তারা একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ভোট চুরির যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তা ভাঙতে হলে ভিসা নীতি ছাড়া উপায় ছিল না। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ও বাংলাদেশের সংকট’–শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশের বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলেও সরকার তা চায় না। এ কারণেই বিরোধীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে।  দেশ সংকটে পড়লে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এখন নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সভায় সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে আজ দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। ভিসা নীতিতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এ দেশে কী ধরনের নির্বাচন হয়। সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের লবিস্ট বা কনসালট্যান্টরা চেষ্টা করছেন, এই যে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থেকে ঘুরে আসলেন সেখানে হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা কংগ্রেসে দেখা করা যায়। গত ৫২ বছর আমরা স্বাধীন হয়েছি, এরশাদের মতো নেতাও আমেরিকা গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা না করে ফেরেননি। এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।

সভায় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া পলাশের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।