অনলাইন ডেস্ক::দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। যা আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে মানুষ, সুখবর নেই বিদ্যুতে।
আজ রোববার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশের ৪৪টি স্টেশনের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। এতে দেখা গেছে, এসব স্টেশনের মধ্যে ৩১টিতেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও চলতে পারে।
আজ সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাজধানী ঢাকায় ছিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন এমন মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার জন্য গরমের অনুভূতিও বেশি হতে পারে।
এই তাপপ্রবাহের কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এখন মৌসুমি বায়ু আসার সময়। সাধারণত ৩১ মের মধ্যে এটি উপকূলের টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর তা বিস্তার লাভ করে। কিন্তু এবার আসতে দেরি হচ্ছে। তবে এবারই যে এমন হচ্ছে, তা নয়।
তারা জানান, গত বছর ২৩ জুন থেকে মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করে। এর আগের বছর ছিল ১৪ জুন। ২০১৫ সালের পর থেকে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করছে।
তবে গরমের পূর্বাভাস দিলেও আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ছে। তারা জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে জ্বালানি সংকটের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। ফলে দেশে চলমান লোডশেডিং আরও কিছু দিন থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশির ভাগ গ্যাস। এছাড়া গরম বেড়ে ৩৮ ডিগ্রির ওপরে চলে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে লোডশেডিং বেড়েছে।’